Book Name:Namaz Ke Deeni or Dunyawi Fawaid
হয়, এই কারণেই হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত সায়্যিদুনা বিলাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে ইরশাদ করতেন: “হে বিলাল! আমাকে নামাযের মাধ্যমে প্রশান্তি দান করো” (অর্থাৎ হে বিলাল! আযান দাও, যাতে আমি নামাযে মগ্ন হই এবং আমি প্রশান্তি লাভ করি)।
(মুজামুল কবীর, ৩/৫৯৮, হাদীস ৬০৯১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: যখন তোমরা আসমান হতে কোন (গর্জন ইত্যাদির ভয়ংকর) আওয়াজ শুনবে তখন নামাযের প্রতি মনোযোগী হয়ে যাও। (শরহে বুখারী লি ইবনে বাত্তাল, ৩/২৬) “মাবসুত” কিতাবে বর্ণিত রয়েছে: যখন অন্ধকার ছেয়ে যাবে বা প্রচন্ড বাতাস বইতে থাকবে তখন নামায পড়া উত্তম, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا এর ব্যাপারে বর্ণিত রয়েছে: বসরায় ভূমিকম্প আসে তখন তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا নামায পড়লেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ, ৩/৫৪১, ১৪৯১নং হাদীসের পাদটীকা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযের বৈশিষ্টের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট এটাও যে, নামায হলো অনন্য চিকিৎসা। হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন: এক বার আমি নামায আদায় করে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট বসে গেলাম, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: তোমার কি পেট ব্যথা করছে? আমি আরয করলাম: জ্বি হ্যাঁ! ইরশাদ করলেন: قُمْ فَصَلِّ، فَاِنَّ فِىْ الصَّلَاةِ شِفَآءً অথার্ৎ “দাঁড়াও আর নামায পড়ো, কেননা নামাযের মধ্যে আরোগ্য রয়েছে।” (ইবনে মাজাহ, ৫৬০, হাদীস: ৩৪৫৮)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল; নামাযে আরোগ্য রয়েছে! কোন কোন রোগের আরোগ্য রয়েছে? اِنْ شَآءَ الله প্রত্যেকটি রোগের আরোগ্য রয়েছে, মাথা ব্যাথা হোক বা পেটের সমস্যা, পাকস্থলি খারাপ হোক বা হৃদ রোগ, আল্লাহ না করুন ক্যান্সার হোক বা হার্টফেল, নামায পড়েন, নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ পাক থেকে আরোগ্য প্রার্থনা করুন, আল্লাহ পাক চাইলে اِنْ شَآءَ الله আরোগ্য নসীব হবে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ডাক্তারী গবেষনা অনুযায়ী নামাযে অসংখ্য শারীরিক রোগের চিকিৎসা বিদ্যমান। যেমন; (১) নামায অন্তর, পাকস্থলী এবং অন্ত্র ইত্যাদি রোগের আরোগ্য দান করে (২) নামায ব্যথার অনুভূতিকে ভূলিয়ে দেয় বা কমিয়ে দেয় (৩) নামায হল উত্তম ব্যায়াম, কেননা এতে কিয়াম (দাঁড়ানো) রুকু এবং সিজদা ইত্যাদি দ্বারা শরীরের অধিকাংশ জোড়া সচল থাকে (৪) সর্দি-কাশি রোগীর জন্য দীর্ঘ সিজদা করা উপকারী (৫) সিজদা দ্বারা বন্ধ নাক খুলে যায়। (ফয়যানে নামায, ২৮ পৃষ্ঠা) (৬) অন্ত্রে জমা হওয়া অপ্রয়োজনীয় বস্তু সমূহকে নড়াচড়ার মাধ্যমে বের করতে সিজদা যথেষ্ট ভূমিকা রাখে (৭) নামাযের দ্বারা মন-মানসিকতা ভালো থাকে এবং রাগের আগুনকে নিবারণ হয় (৮) নামায রিযিক আনয়ন করে (৯) স্বাস্থ্য ভাল রাখে (১০) কষ্ট দূর করে (১১) রোগ দূর করে (১২) মনোবল বৃদ্ধি করে (১৩) খুশির মাধ্যম হয় (১৪) অলসতা দূর করে (১৫) বক্ষ প্রসারিত হয় (১৬) অন্তরকে সতেজ করে (১৭) অন্তর আলোকিত করে (১৮) চেহারা