اِنَّا لِلّٰہ Parhnay Ki Barkatein

Book Name:اِنَّا لِلّٰہ Parhnay Ki Barkatein

কারো মৃত্যুতে বা কোন বড় বিপদেই পড়ার জন্য নয়, সব ধরনের বিপদ আপদ, পেরেশানিতে পড়া যাবে সুতরাং যখনি অসুস্থতা, ঋণ, বেকারত্ব বা কোন বিপদ এসে যায়, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলো, কারো কথায় কষ্ট পেলে, কেউ মারলে, অন্তরের ব্যাথা, হোচট খেলে, গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে, ট্রাফিক জ্যাম থাকলে, ব্যবসায় ক্ষতি হলে, হাত থেকে কোন জিনিস ছুঠে পড়ে গেলে, কাপড় কোন জিনিসের সাথে লেগে ছিড়ে গেলে, মোটকথা যে কোন ধরনের ছোট বড় বিপদ আসুক না কেনো এর উপর ধৈর্য্যের ঢোক পান করে اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ পড়ার অভ্যাস গড়ুন

 

প্রদীপ নিভে যাওয়ার কারণে اِنَّا لِلّٰہ পড়লেন

          হযরত ইকরামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ   হতে বর্ণিত, একবার রাতের সময় প্রিয় নবী  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ছিলেন, হঠাৎ প্রদীপ নিবে গেলো, এতে তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  পড়লেন اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ আমি আরয করলাম: এটাও কি বিপদ? ইরশাদ করলেন: প্রত্যেক ওই জিনিস যা মুমিনকে কষ্ট দেয় সেটা বিপদ আর এর উপর প্রতিদান দেওয়া হয়

(তাফসীরে দুররে মনসুর, পারা , আল বাকারা, আয়াত ১৫৬, খন্ড , পৃঃ ৩৮০)

 

                                                سُبْحٰنَ الله ! জানা গেলো! প্রত্যেক ছোট বড় কষ্টে اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ পড়ে সাওয়াব অর্জন করা যায় এই হাদিসে পাক থেকে আরো শিক্ষা পাওয়া যায় যে, যদি হঠাৎ বিদ্যুৎ (Electricity) বন্ধ হয়ে যায় তবে এতেও ধৈর্য্যধারন করা উচিত আমাদের এখানে সাধারনত বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই অধৈর্য্যহীনতার বহিঃপ্রকাশ করে লোকেরা জানিনা কেমন কেমন উল্টাপাল্টা বলে থাকে, কিছু মূর্খ আল্লাহর পানাহ! বিদ্যুৎ সরবরাহ কারি প্রতিষ্টানকে গালিগালাজ করে থাকে আল্লাহ পাক আমাদের অবস্থার উপর দয়া করো ধৈর্য্য ধারন করা উচিত, যদি হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও اِنَّا لِلّٰہ পড়বো তো  اِنْ شَآءَ الله  সাওয়াব অর্জন হবে

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

অশুভ লক্ষণ মনে করবেন না

          হে আশেকানে রাসুল! আমাদের আকীদা হলো যে, প্রত্যেক ভালো মন্দ ভাগ্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে এর স্পষ্ট উদ্দেশ্য হলো আমরা সুখ পায় বা দুঃখ, সুখময় অবস্থা বা পেরেশানি, সুস্থতা বা অসুস্থতা, সম্পদশালীতা (Wealth) বা অভাব (Poverty(, সব কিছু আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে কিন্তু আমাদের সমাজের (Society) অবস্থা অদ্ভুত, আমাদের এখানে লোকেরা অশুভ লক্ষণ মনে করে, বিশেষ করে এই সফর মাসে অনেক অশুভ লক্ষণ মনে করে * আজ দোকানে কোন গ্রাহক আসেনি তো অশুভ লক্ষণ * কাজ ভালো যাচ্ছে না তো অশুভ লক্ষণ * চোখের পাতা নড়ছে তো অশুভ লক্ষণ * কোথাও যাওয়ার সময় রাস্তায় কোন বিপদ এসে গেলে তো অশুভ লক্ষণ * কোন বিপদ আপদ, পেরেশানি এসে গেলো তো অশুভ লক্ষণ  * বিভিন্ন কথা, বিভিন্ন ধারনা অন্তরে পুষে রাখে, যেমন: সকাল সকাল কোন অন্ধের সাথে সাক্ষাত হয়ে গেলো
* এক চোখ বিশিষ্ট লোক সামনে এসে গেলো * কোন পঙ্গুর সাথে দেখা হলো * কালো কাক বা বিড়াল সামনে দিয়ে হেটে গেলো * কাজে যাওয়ার সময় রাস্তায় কোন মন্দ আওয়াজ শোনলো তো অশুভ লক্ষণ মনে করা হয় যে, এখন আমার কাজ আর হবে না * সময়ের আবর্তনকেও