اِنَّا لِلّٰہ Parhnay Ki Barkatein

Book Name:اِنَّا لِلّٰہ Parhnay Ki Barkatein

অশুভ লক্ষণ মনে করা হয় * এম্বুল্যান্সের আওয়াজ * ফায়োর ব্রিগেডের আওয়াকেও অশুভ লক্ষণ মনে করা হয় * কখনো পত্রিকায় (News Paper) ছাপানো (Publish) তারকার খেলা থেকে নিজের জীবনকে দুঃখময় (Sad) বানিয়ে নেওয়া হয় কিছু লোক মেহমান বিদায় হওয়ার পর ঘরে ঝাড়ু দেওয়াকে অশুভ লক্ষণ মনে করে * ডান চোখের পাতা লাফালে তো ধরে নেওয়া হয় যে, কোন বিপদ আসবে * ঈদ জুমার দিন হয়ে গেলে তো সেটা সমসাময়িক সরকার ভারী মনে করে * বিড়ালের কান্নার আওয়াজকে অশুভ লক্ষণ মনে করে * মোরগ দিনে ডাক দিলে তবে সেটাকে অশুভ লক্ষণ মনে করে এমনকি সেটাকে জবাই করে দেয় * দোকান থেকে প্রথম গ্রাহক পণ্য না নিয়ে চলে গেলে দোকানদার সেটাকে অশুভ লক্ষণ মনে করেআল্লাহ পাক আমাদের অবস্থার উপর দয়া করুন, এগুলো সব ধারনা প্রসুত কথা এগুলো থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যকযখনি কোন বিপদ এসে যায়, পেরেশানি আসে, বিপদ আসে, কোন কাজ বিপরীত হয়ে যায়, দোকানে গ্রাহক (Customer) না আসলে, অফিসে কাজ ঠিকভাবে না হলে, অসুস্থ হয়ে গেলে, আল্লাহ না করুক চুরি ইত্যাদি হয়ে গেলে তখন আল্লাহ পাকের উপর ভরসা রাখুন, ধৈর্য্যধারন করুন!
 اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ পড়ে সাওয়াব অর্জন করুন অশুভ প্রথা নেওয়ার দ্বারা কি হবে? কিছুই হবে না, বিপদ যেটা এসে গেছে, অশুভ প্রথা নিলে ধৈর্য্যধারন اِنَّا لِلّٰہ পড়ার সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেসেটা তো হবেই, এর বিপরীতে অশুভ প্রথা মনে করার কারণে আলাদাভাবে গুনাহ হবে যে, অশুভ প্রথা নেওয়া হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ

 

অশুভ প্রথার ব্যাপারে ৪টি

ফরমানে মোস্তফা  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم:

() প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: لَیْسَ مِنَّا مَنْ تَطَیَّرَ وَ لَا تُطَیَّرُ لَہٗ অর্থাৎ যে অশুভ প্রথা গ্রহণ করলো সে আমাদের দলভূক্ত নয়

(মুসনদে বাযযার, ৯ম খন্ড, পৃঃ ৫২, হাদিস: ৩৫৭৮)

() আমাদের নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি কাহিনী বা তীরের মাধ্যমে শুভ অশুভ নির্নয় করে বা অশুভ প্রথার কারণে সফর থেকে ফিরে আসে সে ব্যক্তি কখনো উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছাতে পারে না

(মাজমাউয যাওয়াইদ, ৫ম খন্ড, পৃ: ১৪৪, হাদিস: ৮৪৮৭)

() রাসুলে কারিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَلطِّیَرَۃُ شِرْکٌ، اَلطِّیَرَۃُ شِرْکٌ، اَلطِّیَرَۃُ شِرْکٌ অর্থাৎ অশুভ প্রথা শিরিক, অশুভ প্রথা শিরিক, অশুভ প্রথা শিরিক এরপর ইরশাদ করলেন: আমাদের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির এই ধরনের অশুভ প্রথার খেয়াল এসে যায় কিন্তু আল্লাহ পাক তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে সেই ধারনাকে দূর করে দেন

(আবু দাউদ, পৃ: ৬১৫, হাদিস: ৩৯১০)

 

          এই হাদিসে পাকের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরাম বলেন: জাহেলী যুগে লোকেরা অশুভ প্রথা গ্রহন করতো, তাদের বিশ্বাস ছিলো যে, অশুভ প্রথার দাবী অনুসারে আমল করলে তারা উপকৃত (Benefit) হয় উদাহরণ স্বরুপ কোন ব্যক্তি কাজের জন্য বের হলো আর রাস্তায় কোন বিড়াল তার প্রতিবন্ধক হলো, এখন যদি তিনি ফিরে আসেন তবে জাহেলী যুগের লোকদের বিশ্বাস ছিলো যে, এরূপ করার দ্বারা আমাদের উপকার হয় এই কারণে হাদিসে পাকে অশুভ প্রথাকে