Musbat Soch Ki Barkat

Book Name:Musbat Soch Ki Barkat

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কুধারণা থেকে রক্ষা পেতে এর ক্ষতিকারক দিক সমূহ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করুন! () যার সম্পর্কে কুধারণা করেছেন, যদি তার সামনে তা প্রকাশ হয়, তাহলে তার অন্তরে কষ্ট লাগতে পারে, এবং শরীয়তের অনুমতি ব্যতীত একজন মুসলমানের হৃদয়ে কষ্ট দেওয়া হারাম (): যদি তার অনুপস্থিতিতে, অন্য একজন সামনে নিজের কুধারণার বহিঃপ্রকাশ করেন তবে তা হবে গীবত এবং কোন মুসলমানের গীবত করা হারাম (): কুধারণা পোষণকারী কেবল তার ধারণার উপরেই ক্ষান্ত হয় না বরং সে তার দোষত্রুটি অন্বেষণে লেগে যায় এবং কোন মুসলমানের দোষত্রুটি অন্বেষণ করা নাজায়িয গুনাহ (): কুধারণা করার মাধ্যমে হিংসা-বিদ্বেষের মত বিপজ্জনক রোগ সৃষ্টি হয় () কুধারণার কারণে দুই ভাইয়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি হয়, বৌ, শাশুড়ি একে অপরের বিরোধী হয়ে যায়, স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের ওপর আস্থা হারিয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে এবং অবশেষে তালাকের উপক্রম হয়ে যায় ভাই বোনের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এবং এভাবেই একটি হাসিখুশি সুখী পরিবার বিরান মহলে পরিণত হয়ে যায় (): অন্যের ব্যাপারে কুধারণা পোষণকারী লোকদের স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেমনটি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, যারা অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করে এবং এর কারণে হতাশাগ্রস্ত এবং রাগান্বিত হয়, তাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি 86%  বেড়ে যায় (সিরাতুল জিনান, পারা: ২৬, সূরা হুজরাত: আয়াতের পাদটীকা: ১২, খণ্ড: , পৃ: ৪৩৫ থেকে ৪৩৬)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি

দ্বীনি কাজ হলো এলাকায়ী দাওরা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহর ভালবাসা বৃদ্ধি করতে, নবী প্রেমের প্রদীপ জ্বালাতে, ঈমানের সুরক্ষার স্পৃহা বৃদ্ধি করতে এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা অবলম্বন করতে, ভালো দ্বীনি পরিবেশ এবং নেককার লোকদের সংস্পর্শ অত্যন্ত জরুরী কারণ বর্তমান সমাজের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে গুনাহের প্রবল বন্যা যাকে তাকে প্রবাহিত করে নিয়ে যাচ্ছে, এই করুণ পরিস্থিতিতে দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশ একটি মহান নেয়ামতের চেয়ে কম নয়, তাই আপনিও এই সুন্দর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ১২টি দ্বীনি কাজে অংশগ্রহণ করে দ্বীনের বার্তা প্রচারের নিয়ত করে নিন, এর অগণিত বরকত আপনি নিজের চক্ষু দ্বারা দেখতে পাবেন, এছাড়া যেলি হালকার ১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে অংশগ্রহণকারী হয়ে যান

          মনে রাখবেন! যেলি হালকার ১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি দ্বীনি কাজ হলো এলাকায়ী দাওরা মারকাযি মজলিসে শুরা প্রদত্ত পদ্ধতি অনুসারে সপ্তাহে একদিন প্রতিটি মসজিদেরে আশেপাশে প্রতিটি ঘরে, দোকানে দোকানে, বাসা-বাড়িতে দোকানে উপস্থিত এবং রাস্তার পাশে দাঁড়ানো এবং যাতায়াতকারী সকলকে নেকীর দাওয়াত উপস্থাপন করা হয় এটাকে এলাকায়ী দাওরা বলে এই দ্বীনি কাজের অগণিত উপকারিতা রয়েছে, নতুন ইসলামী ভাইয়েরা দ্বীনি পরিবেশের কাছাকাছি আসে, বেনামাযী নামাযী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর দোয়ার অংশীদার এবং নেকীর দাওয়াত দেওয়ার সুযোগ লাভ হয়