Book Name:Musbat Soch Ki Barkat
হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। বয়ান শ্রবণ করার পূর্বেও ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শিখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * দো’জানো হয়ে বসবো * বয়ানের মাঝখানে অলসতা করা থেকে বেঁচে থাকবো * নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা কিছু শুনবো অপরের নিকট পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
বর্ণিত আছে, বনী ইসরাঈলে ২জন লোক বসবাস করতো, একজন ছিল অত্যন্ত ইবাদত পরায়ণ, অন্যজন ছিল অত্যন্ত পাপী। লোকেরা ইবাদত পরায়ণকে عَابِدُ بَنِیْ اِسْرَائِیْل (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের ইবাদত পরায়ণ) বলতো আর যে পাপী ছিল, তাকে خَلِیْعُ بَنِیْ اِسْرَائِیْل বলে ডাকতো। একবার এই পাপী ব্যক্তি সেই ইবাদত পরায়ণ ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করলো, তখন সে দেখলো, এক টুকরো মেঘ সেই ইবাদত পরায়ণ ব্যক্তির উপর ছায়া প্রদান করছে। এই দৃশ্য দেখে পাপী ব্যক্তি ভাবলোঃ আমি তো চরম পাপী...!! আর ইনি অনেক বড় ইবাদত পরায়ণ! আমি যদি তার পাশে গিয়ে বসি তাহলে হতে পারে আল্লাহ পাক তার বরকতে আমার প্রতি সদয় হবেন। এই ভেবে সেই পাপী লোকটি ইবাদত পরায়ণের পাশে গিয়ে বসে পড়লো। পক্ষান্তরে, সেই ইবাদত পরায়ণ (যে সম্ভবত শয়তানী ফাঁদ ও অভ্যন্তরীণ রোগ সম্পর্কে অবগত ছিলো না) নেতিবাচক চিন্তা করতে লাগলো এবং মনে মনে বললো: কোথায় আমার মতো একজন ইবাদত পরায়ণ আর কোথায় এই নিম্নস্তরের পাপী! সে আমার পাশে কিভাবে বসতে পারে...! এটা ভেবে অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সাথে সে পাপী ব্যক্তিটিকে তার নিকট থেকে উঠিয়ে দিল। মহান আল্লাহ পাক তখনকার নবী عَلَیْہِ السَّلَام এর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেন এবং বললেন: তাদের উভয়কে তাদের আমল পূণরায় শুরু করতে বলুন, আমি এই পাপীকে (তার সুধারনা এবং ইতিবাচক চিন্তাধারার কারণে) ক্ষমা করে দিলাম এবং ইবাদত পরায়ণের আমল নষ্ট করে দিলাম! অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, যে মেঘ কিছুক্ষণ পূর্বে ইবাদত পরায়ণকে ছায়া প্রদান করছিল এখন তা তার কাছ থেকে সরে পাপী ব্যক্তির মাথার উপর চলে গেল।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
বর্ণনা থেকে প্রাপ্ত দু'টি শিক্ষা
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা দয়া ও শিক্ষায় পরিপূর্ণ ঘটনা শ্রবণ করেছি, তা থেকে আমাদের দু'টি বিষয় শিক্ষা লাভ হয়:
(১): কাউকে তুচ্ছ মনে করবেন না!
প্রথম জিনিস তো এটি শিক্ষা লাভ হয় যে, আমাদের কখনই কাউকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। অন্যকে তুচ্ছ মনে করা অহংকার আর অহংকার অত্যন্ত ক্ষতিকর অভ্যন্তরীণ ব্যাধি।