Book Name:Musbat Soch Ki Barkat
ব্যক্তি তৃতীয়বার এলো, এবার সে বললো: আপনাকে আল্লাহর সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্মরণ করছিলেন। এটা শুনতেই আল্লামা তাফতাযানীর শরীর কেঁপে উঠলো এবং তিনি খালি পায়েই দিদারে মুস্তফার জন্য ছুটে গেলেন। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শহরের বাইরে একটি গাছের নিচে উপবিষ্ট ছিলেন, তিনি আল্লামা তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন: আমি বার বার ডাকার পরও আপনি কেন আসেননি?" তিনি বললেন: হে আল্লাহর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি জানতাম না যে, আপনি তলব করেছেন। আপনি তো আমার নিস্তেজ মস্তিষ্কের কথা জানেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি আপনার পবিত্র দরবারে আরোগ্য কামনা করছি। আল্লামা তাফতাযানীর আর্তনাদ শুনে রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রহমতের সাগরে জোয়ার ওঠে গেল। নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বললেন: তোমার মুখ খুলো! আল্লামা তাফতাযানী মুখ খুললেন, তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর মুখে তাঁর বরকতময় লালা নিক্ষেপ করলেন এবং দোয়া করলেন। সেটার বরকতে আল্লামা তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہ নিস্তেজ মস্তিষ্ক থেকে মুক্তি পেলেন এবং তিনি অনেক বড় আলিমে দ্বীন হয়ে গেলেন। মানসিক (অর্থাৎ স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা) থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি একজন মহান আলিমে দ্বীন হয়ে ওঠেন।
(শাযারাতুয যাহাব, ৮/৫৪৮-৫৪৯)
سُبْحَانَ الله! এই দয়া...!! যাইহোক, আমরা কারো ভবিষ্যতের ব্যাপারে বিধান লাগাতে পারি না, না লাগানো উচিত, আমরা আজকে যাকে ব্যর্থ, অকর্মা, নিস্তেজ, অলস মনে করি, আগামীকাল তার ভবিষ্যৎ কী হবে, আল্লাহর রহমত তার ওপর কী হতে পারে তা জানি না, তাই কারো সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তাধারা তৈরি করবেন না বা কারো ভবিষ্যতের বিষয়ে নেতিবাচক আদেশ দিবেন না! বরং আমাদের উচিত আল্লাহর রহমতের প্রতি আশা রাখা এবং এই মন-মানসিকতা রাখা যে, আমার সন্তান, আমার ভাই, আমার ছাত্র, যদিও আজ অকর্মা, ব্যর্থ, কোন সমস্যা নেই اِنْ شَآءَ الله আল্লাহ পাক তাকে বরকত দান করবেন এবং তাঁর অনুগ্রহে তাকে সফলতা দান করবেন। সৎপথের পথিক বানাবেন।
দোয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব রাখুন!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দোয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের ইতিবাচক মনোভাব রাখা উচিত, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনের খুবই চমৎকার চিন্তাধারা ছিল, এই নেককার লোকেরা অন্যকে বদ দোয়া দেওয়ার পরিবর্তে ভালো ভালো দোয়া করতেন। হযরত যুননুন মিসরী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক বড় একজন ওলী, একদা তিনি তার মুরিদদের সাথে একটি নৌকায় ভ্রমণ করছিলেন, সামনে দিয়ে একটি নৌকা আসতে দেখা গেল যাতে আরোহীরা গান বাজনায় মত্ত ছিল এবং দরিয়ায় এক প্রকার শোরগোল মাছিয়ে রেখেছিল। হযরত যুন-নুন মিসরী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুরিদগণ আরজ করলো: হুজুর! দোয়া করুন! যেন মহান আল্লাহ তাদের সবাইকে ডুবিয়ে দেন যাতে তাদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর সৃষ্টি রক্ষা পায়। হযরত যুন-নুন মিসরী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উঠে দাঁড়ালেন এবং দুই হাত তুলে এভাবে দোয়া করলেন: হে আল্লাহ! তুমি