Book Name:Musbat Soch Ki Barkat
আমি যদি সেই কাজটি করতাম তাহলে এমন হয়ে যেতো, বরং এভাবে বল: قَدَّرَ اللهُ وَ مَا
شَآءَ فَعَل الله আল্লাহ পাক ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন এবং যা চেয়েছেন সেটাই করেছেন। তিনি আরো বলেন:
فَاِنَّ
لَو تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّیْطَانِ নিশ্চয়! যদি (শব্দটি) শয়তানের কর্মকে উন্মুক্ত করে দেয়। (মুসলিম, কিতাবুল কদর, পৃ: ১০২৭, হাদিস: ২৬৬৪)
আলহাজ্ব মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন: অর্থাৎ এই যদিটার কারণে মানুষের ভরসা মহান আল্লাহর ওপর থাকে না, নিজের বা কারণগুলোর ওপর ভরসা থাকে। (অতঃপর যখন আল্লাহ পাকের প্রতি ভরসা থাকে না তখন শয়তান মানুষকে ধরে ফেলে) মনে রাখবেন! এখানে পার্থিব জীবনের যদি শব্দটির কথা বলা হয়েছে, দ্বীনি কাজে যদি শব্দটি, আক্ষেপ ও অনুশোচনার জন্য হয় তো ভাল জিনিস, যেমন আমি যদি এতটুকু জীবন নেকীর কাজে ব্যয় করতাম, তাহলে খোদাভীরু হয়ে যেতাম, কিন্তু হায়, আমি আমার জীবন গুনাহে অতিবাহিত করে দিয়েছি। এমন আফসোস! উত্তম ইবাদত।
(মিরআতুল মানাজীহ, খণ্ড:৭, পৃষ্ঠা:১১৩)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটাই হলো ইসলামের সুন্দর শিক্ষা! নিজের জীবন থেকে যদি শব্দটি, অতীতের ঘটনা সম্পর্কে অকারণে আক্ষেপ করা, হায়! হায় করতে থাকা, এসব ছেড়ে দিন! ভালো এবং ইতিবাচক চিন্তাধারা গ্রহণ করুন! اِنْ شَآءَ الله অতীতের তিক্ততা ব্যথার কারণ হবে না বরং অনেক ক্ষেত্রে সাওয়াবের মাধ্যম হয়ে যাবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আমাদের সমাজে সাধারণত মানুষ অতীতকে দোষারোপ করতে থাকে, হায়! আমার সাথে এমনটি হয়ে গেছে, হায়! আমার দ্বারা বড় ভুল হয়ে গেছে, আফসোস! আমার ভাগ্যটাই এমন, ইত্যাদি। আমাদের এই অভ্যাস আমাদের অতীতকে তিক্ত করে তোলে, আমরা যদি ইতিবাচক চিন্তাধারা গ্রহণ করি, অতীতকে দোষারোপ করার পরিবর্তে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে শুরু করি, তাহলে আমাদের সেই তিক্ত অতীত হয়ে উঠবে সুন্দর ও মনোরম।
তিক্ত অতীত কাহিনী নয়, শিক্ষক
আপনাদের একটা মজার কথা বলি। আমরা সাধারণত আমাদের জীবনের বেদনাদায়ক দিকগুলিকে কাহিনী (দুঃখজনক ঘটনা) বলে আখ্যায়িত করে থাকি, কিন্তু জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান লোকেরা একে কাহিনী নয়, আতালিক (অর্থাৎ শিক্ষক) বলে থাকেন। অর্থাৎ আমাদের অতীত আমাদের শিক্ষক। এটি প্রজ্ঞাময় কথা, আল্লাহ পাক আমাদের স্মৃতিশক্তি দিয়েছেন, আমরা চাইলেও অতীতের অনেক কিছুই ভুলতে পারিনা..!! এমন কেন হয় জানেন? আমাদের স্মৃতিশক্তি আমাদের অতীতকে আমাদের ভবিষ্যতের সাথে সংযুক্ত করে, আমরা অতীতকে স্মরণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করি, এখন এর দু'টি রূপ রয়েছে; (১) হয় তো নিজের অতীত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে, নিজের ভবিষ্যতকে কাহিনী বলে নিরাশ করে দেওয়া (২) অথবা নিজের অতীতকে নিজের শিক্ষক বানিয়ে তা থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নিজের ভবিষ্যতকে সফল করা। আমরা যদি