Musbat Soch Ki Barkat

Book Name:Musbat Soch Ki Barkat

যেমনিভাবে তাদেরকে দুনিয়াতে আনন্দ দান করেছো, আখিরাতেও আনন্দ দাওতার এই দোয়া শুনে মুরিদরা খুব অবাক হলেন যাইহোক! যখন সেই নৌকাটি নিকটবর্তী হল, তখনই ঐলোকদের দৃষ্টি হযরত যুন-নুন মিসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ওপর পড়লো তখন সবাই কান্নাকাটি করতে লাগল, তারা বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলল এবং সত্যমনে তাওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসলোতখন হযরত যুন-নুন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর মুরিদদের উদ্দেশ্যে বললেন, আখিরাতের আনন্দ এই দুনিয়ায় তাওবা করার মাধ্যমেই অর্জিত হয় (কাশফুল মাহজুব, পৃ: ১৫৬)

 

            سُبْحَانَ الله! কত চমৎকার চিন্তাধারা যদি কেউ আমাদের সাথে খারাপ কাজ করে বা আমাদেরকে কষ্ট দেয়, তবে তাকে অভিসম্পাত করার পরিবর্তে এই দোয়া করা উচিত: আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুক সেও সংশোধন হয়ে যাবে এবং কষ্টও বিলুপ্ত হয়ে যাবে তদ্রূপ, আমাদের মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করার চেয়ে উত্তম হলো, আমাদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করা এবং হিদায়তের জন্য দোয়া করা

 

কুধারণা থেকে বিরত থাকুন!

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নেতিবাচক চিন্তার আরেকটি রূপ হলো কুধারণা মনে রাখবেন! কুধারণা হারাম এবং জাহান্নামে নিক্ষেপকারী কাজ আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন:

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیْنَ  اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا کَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ  بَعْضَ الظَّنِّ  اِثْمٌ

(পারা: ২৬, সূরা হুজরাত, আয়াত: ১২)                কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে বিরত থাকো নিশ্চয় কোন কোন অনুমান পাপ হয়ে যায়

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উক্ত আয়াতে আমাদেরকে অধিক ধারণা করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে কারণ কিছু ধারণা গুনাহ হয়ে যায় মনে রাখবেন ধারণা কয়েক প্রকার তন্মধ্যে তিনটি হলো: (): ওয়াজিব, যেমন, আল্লাহ পাকের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করা (): মুস্তাহাব, যেমন, নেককার মুসলমানের ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করা (): হারাম, যেমন, আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কুধারণা পোষণ করা, তদ্রুপ মুসলমানদের ব্যাপারে কোন ধারণা করাও হারাম

(তাফসীর সিরাতুল জিনান, পারা: ২৬, সূরা হুজরাত, আয়াত: ১২, খণ্ড: , পৃ: ৪৩৪)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

আল্লাহর বান্দারা! ভাই ভাই হয়ে যাও!

          হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহ পাকের প্রিয় রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিজেকে নিজে কুধারণা থেকে রক্ষা করো কারণ কুধারণা সবচেয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যা, একে অপরের বাহ্যিক অভ্যন্তরীণ দোষ অন্বেষণ করো না, লোভ লালসা করো না, হিংসা করো না, বিদ্বেষ করো না একে অপরের বিরোধিতা করিও না এবং আল্লাহর বান্দারা ভাই ভাই হয়ে থাকো

(মুসলিম, কিতাবুল বিররি ওয়াস সিলা ওয়াল আদব, পৃ: ৯৯৪, হাদিস: ২৫৬৩)