Book Name:Musbat Soch Ki Barkat
আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: حَسْبُ امْرِئٍ مِّنَ الشَّرِّ اَنْ يَّحْقِرَ اَخَاهُ الْمُسْلِمَ একজন মানুষের মন্দের জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে। (ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা: ৬৮৩, হাদীস: ৪২১৪) আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রজ্ঞা দান করুক, অহংকারের বরং সমস্ত বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রোগ থেকে রক্ষা করুক। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖنصَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
(২): সর্বদা ইতিবাচক চিন্তা করুন!
প্রিয়
ইসলামী ভাইয়েরা! উপরোক্ত ঘটনা থেকে দ্বিতীয় শিক্ষনীয় বিষয়টি হলো, আমাদের সর্বদা ইতিবাচক চিন্তাধারা রাখতে হবে। দেখুন! এই ঘটনায় আমাদের সামনে দু'টি চরিত্র ফুটে উঠেছে; (১): তাদের মধ্যে একজন পাপী, তার জীবন পাপে অতিবাহিত হয়েছে, এমনকি তার অসচ্চরিত্র এবং তার পাপপূর্ণ অভ্যাসের কারণে তাকে خَلِیْعُ
بَنِیْ اِسْرَائِیْل (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের সবচেয়ে নির্লজ্জ ব্যক্তি) বলা হতো।
(২): অন্যদিকে একজন ইবাদত পরায়ণ, তার জীবন ইবাদত করে, নেক আমল করে, ভালো কাজ করে অতিবাহিত হয়েছে ফলে বনী ইসরাঈল তাকে عَابِدُ
بَنِیْ اِسْرَائِیْل (অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের ইবাদত পরায়ণ) বলে ডাকতো। এই হল দু'টি চরিত্র। তারাও শুধুমাত্র এক একটি কাজ করেছে আর সে কাজটি এমন ছিল যা তাদের উভয়ের অতীতকে সম্পূর্ণরূপে
A থেকে Z পর্যন্ত পরিবর্তন করে দিয়েছে। সে কাজটি কী ছিল: একটি চিন্তাধারা। ইবাদত পরায়ণ ব্যক্তি নেতিবাচক চিন্তা করলো, একজন কালেমা পড়ুয়া ব্যক্তি সম্পর্কে অন্তরে ঘৃণার অনুভূতি সৃষ্টি করল, এর অনিষ্টতার কারণে তার সারা জীবনের নেক আমল নষ্ট হয়ে গেল আর অন্য দিকে পাপী ব্যক্তি ভালো চিন্তা করেছিল। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা অবলম্বন করলো, নিজেকে পাপী এবং অন্যকে ইবাদত পরায়ণ মনে করলো, ভাল চিন্তাভাবনা, ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে, সুধারণা পোষণ করে সেই ইবাদত পরায়ণের পাশে গিয়ে বসে পড়ল, তার সেই সুধারণার কারণে তার সমস্ত গুনাহ মুছে ফেলা হলো এবং তার অন্ধকার অতীতকে সুন্দর ও অপরূপ করা করে দেয়া হলো। এটা হলো ইতিবাচক চিন্তার বরকত....!! আমরা প্রায়ই শুনে থাকি যে, ইতিবাচক চিন্তার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ভালো হয়, মানুষ উন্নতি ও সাফল্য লাভ করে, কিন্তু একটু ভাবুন যে, ইতিবাচক চিন্তা কত ভালো বস্তু যে, এর কারণে অতীত তো সুন্দর হয়ই পাশাপাশি অতীতকেও সুন্দর ও মনোরম করে তুলে।
জীবন থেকে হায়! শব্দটি মুছে ফেলুন!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের অতীতের তিক্ততার একটি বড় কারণ হল হায় শব্দটি। আমরা আমাদের অতীত সম্পর্কে হায় শব্দটি অনেক বেশি বলি। হায়! আমি যদি এটা না করতাম, হায়! আমি যদি ওটা না করতাম, হায়! আমি যদি এই ব্যবসা না করে ঐ ব্যবসা করতাম! হায়! আমি যদি এই ডিপ্লোমা না করে ঔ ডিপ্লোমা করতাম! হায়! আমি যদি এখানে জব না করে অমুক জায়গায় চাকরি নিতাম ইত্যাদি। এই হায়! শব্দটি আমাদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে তিক্ত করে তোলে। তাই জীবন থেকে হায় শব্দটি মুছে ফেলুন! এটি একটি খুবই বিপজ্জনক শব্দ। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যদি তোমরা কোন কষ্ট পাও তবে এটা বলো না যে,