Book Name:Musbat Soch Ki Barkat
করবেন * জ্ঞান অর্জন করছেন এক্ষেত্রে নিজের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে কোন প্রকার অলসতা না করে এখন আশা রাখুন যে, পরীক্ষায় সফল হব।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
জিহ্বা দিয়ে ভালো শব্দাবলি বের করুন
প্রিয় ইসলাম ভাইয়েরা! আমাদের সমাজে সাধারণত লোকেরা নৈরাশমূলক নেতিবাচক কথাবার্তা বলে, হয়তো তারা নিজেরা নিরাশ থাকে নতুবা তাদের নেতিবাচক কথার মাধ্যমে অন্যকে নিরাশ করে ফেলে যেমন; তোমার কখনো বুদ্ধি হবে না * তুমি সর্বদা ব্যর্থ হবে * তুমি কোন কাজ সঠিকভাবে করতেই পারো না * তোমার ভাগ্যে আরও লাঞ্ছনা অবধারিত * তুমি আজীবন অলস থাকবে সাধারণত পিতা-মাতা তাদের সন্তানদেরকে এমন কথা শুনিয়ে থাকে এটি অত্যন্ত ভুল বিষয় * আল্লাহ পাকের রহমতের ভালো আশা রাখুন! মূর্খদের জ্ঞানী করা কি আল্লাহর ক্ষমতাধীন নয়? অবশ্যই * কোন অলস ব্যক্তিকে সফলতা দান করা কি আল্লাহ পাকের ক্ষমতাধীন নয়? অবশ্যই * আমরা কি কারো ভবিষ্যত জানি? আজ আমাদের যাকে ব্যর্থ, দুর্বল চিত্তের, স্বল্পজ্ঞানী মনে হচ্ছে, হতে পারে আগামীকাল তার ভাগ্যের তারকা চমকে উঠবে, আল্লাহ পাক তাকে বিবেকবান, অনেক বড় আলিম, বুদ্ধিমান এবং প্রজ্ঞাময় ইবাদত-পরায়ণ, নেক পরহেযগার, আদর্শবান এবং যুগশ্রেষ্ঠ নেতা বানিয়ে দিবেন। আমাদের কি কারোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিধান প্রয়োগ করার অধিকার আছে? আমাদের মুখ দিয়ে ভালো কথাই বের করা উচিত। অন্যের ব্যাপারে ভালো কিছু ভাবা উচিত সুধারণা রাখা উচিত, নিজের সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে, ছোট ভাইদের ব্যাপারে, ছাত্রদের ব্যাপারে, নিজের অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের নিকট ভালো কিছু আশা করা উচিত। কত মানুষ এমন আছে যাদের সম্পর্কে মানুষ নেতিবাচক কথা বলতো, কিন্তু আল্লাহ পাক তাদেরকে এত উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন যে, এখন মানুষ অবাক হয়ে শুধু দেখছে।
আল্লামা তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ 'র প্রতি দয়া হয়ে গেল
আল্লামা সা'দ উদ্দীন মাসউদ বিন উমর তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক বড় আলিমে দ্বীন ছিলেন, তাঁর রচিত অনেক গ্রন্থ দরসে নিযামী, অর্থাৎ আলিম কোর্সে পড়ানো হয়। আল্লামা তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কাজী শিরাজী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট পড়াশুনা করতেন এবং তাকে ক্লাসের সবচেয়ে নিস্তেজ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তার সহপাঠীরা তার নিস্তেজ মস্তিষ্কের কারণে তাকে নিয়ে উপহাস করতো। এতদসত্ত্বেও আল্লামা তাফতাযানী সাহস হারালেন না এবং কঠোর পরিশ্রম করতে থাকলেন, অত্যন্ত পরিশ্রম ও মেহনতের সাথে পাঠ মুখস্থ করতেন, অতঃপর ভুলে যেতেন, অতঃপর মুখস্থ করতেন, এভাবে তিনি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন। একবার তিনি পাঠ মুখস্থ করতে ব্যস্ত ছিলেন এমন সময় একজন অপরিচিত লোক এসে বলল: মাসউদ! উঠো! আমরা বেড়াতে যাই। আল্লামা তাফতাযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উত্তরে বললেনঃ আমি দর্শনীয় স্থান ও বিনোদনের জন্য জন্মগ্রহণ করিনি, এমনিতেই এত পড়া সত্বেও আমি কিছু বুঝতে পারি না, তারপর এই দর্শনীয় স্থান ও বিনোদনে কিভাবে সময় নষ্ট করবো? একথা শুনে অপরিচিত লোকটি চলে গেল, কিছুক্ষণ পর একই ব্যক্তি আবার এলো, সে আবার তাকে ভ্রমণে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালো, তিনি আবারও একই উত্তর দিলেন। কিছুক্ষণ পর একই