Book Name:Imam e Jafar Ki Mubarak Aadatein
اَلْـحَـمْـدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْـعٰـلَـمِـیْـنَ وَالصَّـلٰوۃُ وَالسَّـلَامُ عَـلٰی سَـیِّـدِ الْمُـرْسَـلِـیْـنَط
اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِا للهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ط بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِط
اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَارَسُوْلَ الله وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَا حَبِیْبَ الله
اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَا نَبِیَّ الله وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَانُوْرَ الله
نَوَیْتُ سُنَّتَ الْاِعْتِکَاف
(অর্থাৎ আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করলাম। )
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন, মনে করে নফল ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কেননা যতক্ষণ মসজিদে থাকবেন, ইতিকাফের সাওয়াব অর্জিত হতে থাকবে মনে রাখবেন! মসজিদে খাওয়া, পান করা, ঘুমানো বা সেহেরী, ইফতার করা এমনকি যমযমের পানি বা দম করা পানি পান করারও শরয়ীভাবে অনুমতি নেই, তবে যদি ইতিকাফের নিয়্যত করা হয় তবে এই সকল বিষয় জায়িয হয়ে যাবে। ইতিকাফের নিয়্যতও শুধুমাত্র পানাহার বা ঘুমানোর জন্য করা উচিৎ নয় বরং এর উদ্দেশ্য যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিরই হয়। “ফতোওয়ায়ে শামী”তে বর্ণিত রয়েছে: যদি কেউ মসজিদে পানাহার বা ঘুমাতে চায় তবে তবে ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কিছুক্ষণ আল্লাহ পাকের যিকির করুন অতঃপর যা ইচ্ছা করুন (অর্থাৎ এবার চাইলে পানাহার বা ঘুমাতে পারেন)।
দরূদ শরীফের ফযীলত
হযরত ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ থেকে বর্ণিত: مَنْ صَلَّى عَلٰى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَعَلٰى اَهْلِ بَيْتِهِ مِئَةَ مَرَّةٍ قَضَى اللهُ لَهُ مِئَةَ حَاجَةٍ অর্থাৎ যে ব্যক্তি মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও তার আহলে বাইতের উপর ১০০ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার ১০০ টি প্রয়োজন পূর্ণ করবেন।
আহলে বাইতে পাক অর্থাৎ নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পরিবারবর্গ (যেমন পবিত্র স্ত্রী গণ ও সকল আওলাদগণ) এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করার পদ্ধতি হলো, প্রথমে প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে দরূদ আরয করবে, এরপর আহলে বাইতের উপর দরূদ শরীফ পেশ করবে। যেমন এই দরূদ শরীফ পাঠ করুন!
اَللّٰہُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّ عَلٰی آلِہٖ وَ سَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
বয়ান শোনার নিয়্যত
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল। (জামে সগীর, ৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২৮৪)