Imam e Jafar Ki Mubarak Aadatein

Book Name:Imam e Jafar Ki Mubarak Aadatein

          ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চুপ থাকলেন, তারপর তিনি আবার বললেন: "আলিজাহ! আপনি আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত, দয়া করে আমাকে কোনো উপদেশ দিন!" এরপর ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন:

          "আমি তো নিজেই ভীত যে, যদি কিয়ামতের দিন আমার পূর্বপুরুষ (অর্থাৎ মুহাম্মদ মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমার হাত ধরে এটা জিজ্ঞাসা করেন, 'তুমি আমার অনুসরণের হক কেন পূর্ণ করনি?' তখন আমি কী উত্তর দি?"

          এটি শুনে হযরত দাউদ ত্বায়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন, "ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এত উঁচু মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও যদি তিনি এতটা ভীত থাকেন, তাহলে আমি কি কোন গণনায় পড়বো?" (তাযকিরাতুল আউলিয়া, /২১)    

 

          আল্লাহ! আল্লাহ! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বড়দের বড় কথা হয়ে থাকে...!! ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তো উঁচু মর্যাদার অধিকারী যে, তিনি আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত, আপন সময়ে সবচেয়ে বড় ইমাম, নেক বড় আলেম এবং একজন বড় ওলীয়ে কামিল আল্লাহর দরবারে এতই সম্মানিত যে, তিনি যে দোয়া করবেন, আল্লাহ পাক তা পূর্ণ করেন। এরপরতাঁর নম্রতা এবং ভয়ের অবস্থা এমন যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর খেদমতে উপস্থিত হওয়ার ভয় অন্তরে স্থাপন করেন। হায়! যদি আমাদেরও এই ভয় নসীব হতো!  

          হায়! আমরা তো কোন গণনাতেই নেই...!! দিন রাত পাপের মধ্যে ব্যস্ত থাকি, দিন গেমসের মধ্যে কাটে, রাত উদাসীনতার ঘুমে কাটে, নেকীর কোনো নাম গন্ধও নেই, তবুও আমরা ভয় পাই না, ভীত হই না, কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে হাজির তে হবে, এক এক মুহূর্তের হিসাব নেওয়া হবে...!! হায়! আমরা কীভাবে উত্তর দিতে পারব?  

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ৩টি ইবাদত

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইমাম জাফর সাদিক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যেহেতু খোদাভীরু ছিলেন, তাই তিনি সময় নষ্ট করতেন না, অধিকাংশ সময় বরং সব সময় নেক কাজের মধ্যে কাটাতেন। ইমাম  মালেرَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ইমাম জাফর সাদিকের رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ খেদমতে গিয়েছি, আমি সবসময় তাঁকে ৩টি ইবাদত থেকে একটিতে ব্যস্ত পেয়েছি: (১) তিনি হয়তো নামাপড়ছেন, (২) রোযা রাখছেন, অথবা (৩) কুরআন তিলাওয়াতে মগ্ন ছিলেন(শেফা, ২/৩৬)  

 

দুনিয়াবী চিন্তায় থাকা ধ্বংসের কারণ

          হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, হুযূর আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি তার সব চিন্তা কেবল এক চিন্তায়, অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায় রূপান্তরিত করে, আল্লাহ পাক তাকে তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট এবং যে ব্যক্তি তার