Imam Malik Ki Seerat

Book Name:Imam Malik Ki Seerat

اللهِ عَلَیْہِ নেকীর দাওয়াত প্রদানের কোন সুযোগ হাত ছাড়া হতে দিতেন না, কিন্তু আফসোস! বর্তমানে নেকীর দাওয়াতের প্রেরণা কমে যাচ্ছে আমরা কিরূপ মুসলমান যে, আমাদের নিজেদের ঘর, প্রতিবেশি, গলি, মহল্লা বা এলাকায় মন্দ কাজ হচ্ছে, কিন্তু আমরা বাঁধা প্রদান করার সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও ব্যস নিজেদের সংশোধনেই লিপ্ত থাকি এবং তাদের নেকীর দাওয়াত দিই না, সফরের সময় অনেক সময় গাড়িতে গান বাজে বা সিনেমা চলে থাকে, এটাও নেকীর দাওয়াত প্রদানের সুন্দর সুযোগ, কৌশলে এবং সুন্দর আচরন প্রদর্শন করে ড্রাইভারকে বুঝিয়ে, তাকে এবং অন্যান্য শ্রবণকারীদেরকে গান-বাজনা শুনার গুনাহ থেকে বাঁচানো যায়, অনেক সময় গাড়ির অপেক্ষায় ওয়েটিং রুমেই হৃদয়বিদাক দৃশ্য দেখা যায়, এই সময়ও সংশ্লিষ্ট লোককে নেকীর দাওয়াত দেয়া যেতে পারে অনুরূপভাবে আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে নেকীর দাওয়াত দেয়ার সুযোগ রয়েছে, নেকীর দাওয়াত দেয়াতে যেহেতু সাওয়াব অনেক বেশি, তাই শয়তান এই কাজে কুমন্ত্রণা দিয়ে নেকীর এই মহান কাজ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে থাকে, অথচ মুসলমানকে বুঝানো উপকৃত করে, জি হ্যাঁ! ২৭তম পারার সূরা যারিয়াতের ৫৫নং আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

وَّ  ذَکِّرۡ فَاِنَّ  الذِّکۡرٰی تَنۡفَعُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ  (۵۵)

(পারা ২৭, সূরা যারিয়াত, আয়াত ৫৫)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর বুঝান, যেহেতু বুঝানো মুসলমানদেরকে উপকার দেয়

    অনুরূপভাবে হাদীসে মুবারাকায়ও অসংখ্য স্থানে নেকীর দাওয়াত দেয়া এবং মন্দ থেকে বাঁধা প্রদান করার উৎসাহ বিদ্যমান রয়েছে

    রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তোমাদের মধ্যে যখন কেউ কোন মন্দকে দেখলো, তবে তার উচিত যে, নিজের কথা দিয়ে বাঁধা দেয়া এবং যে নিজের কথা দিয়ে বাঁধা দেয়ারও ক্ষমতা রাখবে না, তার উচিৎ যে, নিজের অন্তরে মন্দ জানা আর এটা ঈমানের দূর্বলতম নিদর্শন

(মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ৪৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৭৭)