Book Name:Gunahon ki Nahusat
মোবারকে ফজরের নামায পড়ে সাথে সাথে কবস্থানে গেলাম, সম্ভবতো সেটা রমযান শেষ দিন বরং শবে কদর ছিলো। সেই সময় কবস্থানে আমি ব্যতিত কেউ ছিলো না। যাই হোক এখন আমি আমার পিতা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কবস্থানের পাশে বসে কুরআনে পাকের কিছু অংশ পাঠ করছিলাম যে হঠাৎ প্রচন্ড ওহ ওয়াহ এবং কান্নার আওয়াজ শুনলাম, ক্রন্দনকারী বার বার “আহ! আহ! আহ!” বলছিলো, চুনা দ্বারা তৈরীকৃত উজ্জ্বলতা সাদা কবর থেকে নির্গত আওয়াজ আমাকে আতঙ্ক করে দিলো তখন আমি কিরাত বন্ধ করে সেই আওয়াজ শুনতে থাকি। আযাবে জড়িত ব্যক্তির এমন আহজারী করতেছে যেটা শুনে অন্তর হতাশ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে, আমি কিছুক্ষণ পর্যন্ত সেই আওয়াজ শুনতে থাকি অতঃপর যখন দিন খুব আলোকিত হলো তখন সেই আওয়াজ শুনা বন্ধ হয়ে গেলো। যখন একজন ব্যক্তি আমার পাশ দিয়ে গমন করছে তখন আমি তাকে জিজ্ঞসা করলাম: এটা কার কবর? তখন সেই বললো: এটা অমুকের কবর। আমি সেই ব্যক্তিকে ছোট্ট কাল থেকে দেখতেছি যে সেই ব্যক্তি অধিকহারে মসজিদে আসা-যাওয়া করতো। সময় মত নামায আদায় করতো আর অনর্থক কথা-বার্তা বিরত থাকতো। যেহেতু আমি তাকে দেখে ছিলাম। সেই জন্য আমি তাকে চিনতে পারলাম। কিন্তু এই ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা আমাকে অনেক গভীর চিন্তায় ফেলো দিলো আর আমার জানা হয়ে গেছে যে এই ব্যক্তি জীবনে নেক আমলকে কেবল প্রকাশ্য চদর বানিয়ে রাখছিলো। এরপর আমি তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা এমন ব্যক্তিদের নিকট তার সম্পর্কে জিজ্ঞসাবাদ করলাম তখন লোকেরা আমাকে বললো: সেই ব্যক্তি সূদ খেতো আর একজন ব্যবসায়ীও ছিলো। আর যখন তার নিকট সম্পদ কমে গেলো তখন সেই যালিম ও খারাপ নফস নিজের অবশিষ্ট জীবনে এই জামাকৃত পুজির দিয়ে অতিবাহিত করাতে সন্তুষ্টি ছিলো না আর শয়তান তার অন্তরে সূদের ভালোবাসা সজ্জিতকরে দিলো যেনো তার সম্পদে কম না হয় আর এই কারণে সেই রমযানে বরং শবে কদরেও এই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দ্বারা জড়জড়িত। (জাহান্না মে লে জানে ওয়ালে আমাল, ১/৬৯)
গুনাহ নির্জনতায় হোক বা জনসম্মুখে গুনাহতো গুনাহ
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বুঝা গেলো যে গুনাহ একলা হোক বা সবার সামনে, সেটা গুনাহই হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক নিজ নাফরমানকারী বান্দার উপর কঠোর আযাব দেন। চিন্তা করুন! উল্লেখিত ঘটনাতে এরা ঐসমস্ত লোক যারা প্রকাশ্যভাবে নেককার