Book Name:Gunahon ki Nahusat
কারণ) মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। আর অগণিত সংখ্যা (নিজ নেকীর কারণে নয় বরং) অন্যের নেকী অর্জন করে জান্নাতে প্রবেশ হয়ে যাবে। (কুতুল কুলুব,২/ ২৫৩) স্পষ্টতো এটাই যে অন্যের নেকী অর্জন কারী সেই ব্যক্তি হবে যাদেরকে দুনিয়াতে অন্তরে কষ্ট ও হক বিনষ্ট করেছে। এভাবে কিয়ামতের দিন নির্যাতিত ও দরিদ্ররা উপকারে থাকবে।
মাকতাবাতুল মদীনার কিতাব আঁসুকা দরয়া এর ৪৮ পৃষ্ঠাতে হযরত ইমাম ইবনে জাওযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আর কতদিন নেক আমলে অলসতা করবে? আর কতদিন মিত্যা আকাঙ্খা পূর্ণ করার লোভ-লালসা রাখবে? তোমরা অবকাশ পেয়ে প্রতারিত হচ্ছো আর মৃত্যুর গ্রাসকে স্বরণ করছো না। তোমরা যাতে জন্ম দিয়েছো (অর্থাৎ সন্তান) সেই মাটির জন্য এবং যা কিছু তোমরা নির্ণামান করেছো (অর্থাৎ ঘর ইত্যাদি) সেগুলো বিরাণ হওয়ার জন্য এবং যা কিছু তোমরা চঞ্চয় করেছো (অর্থাৎ ধন-সম্পদ) সেই গুলো ধ্বংস হওয়ার জন্য আর তোমাদের আমল কিয়ামতের দিনের জন্য একটি আমল নামা সংরক্ষিত রয়েছে। (বাহুরুদ দুমু, ৩০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হায়! জাহান্নামের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি!! গুনাহ থেকে বিরত থাকা অত্যান্ত জরুরী অন্যথায় কঠিন পরিক্ষার সম্মুখিন হতে হবে। আমাদের নিজের গুনাহের প্রতি লজ্জ্বিত হওয়া এবং এর কারণে দুঃচিন্তা হওয়া উচিত। হায়! যদি নসিব হয়ে যায়! এই বিষয়ে একটি ঘটনা শ্রবণ করুন: একবার একজন ইবাদতকারীদের একটি কাফেলা যার মধ্যে হযরত আতা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ও বিদ্যমান ছিলেন সফরে যাচ্ছিলেন, অধিক ইবাদতের কারণে ঐ ইবাদতকারীর চোখ ভিতরে দিকে ঢুকে গিয়ে ছিলো, পা ফুলে গেয়ে ছিলো এবং তরমুজের চিলকার মত দূর্বল হয়ে গেলো, মনে হয় যেনো এখনই কবর থেকে বেরিয়ে এলো। পথে একজন আবিদ বেহুশ হয়ে গেলেন এবং অত্যান্ত শীত হওয়ার সত্ত্বেও মাতা থেকে ভয়ের কারণে ঘাম ঝরতে লাগলো। হুশ আসার পর লোকেরা জিজ্ঞাস করাতে বললেন: যখন আমি এই জায়গা দিয়ে অতিক্রম করলাম তখন আমার স্বরণ আসলো যে অমুক দিন এই জায়গায় আমি গুনাহ করে ছিলাম। এই স্বরণে আমার অন্তরে আখিরাতের হিসাবের প্রতি ভয় এসে গেলো আর আমি বেহুশ হয়ে গেলাম। (ইহইয়াউল উলুম, ৪/২২৯)