Book Name:Gunahon ki Nahusat
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয় দুনিয়া মিষ্টি এবং সতেজ আর আল্লাহ পাক এই দুনিয়ায় তোমাকে খেলাফত প্রদান করেন, ব্যস দেখেন যে, তোমরা কিরূপ আমল করো।
(ইবনে মাজাহ, কিতাবুল ফিতন, ৪র্থ খন্ড, ৩৫৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৪০০০)
ব্যস মনে রাখবেন! মৃত্যুর পর প্রত্যেক ব্যক্তি নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে, যদি দুনিয়ায় ভাল আমল করে থাকে তবে এর প্রতিদান পাবে এবং যদি আল্লাহ না করুক নফস ও শয়তানের ধোকায় পরে জীবনকে গুনাহের মধ্যে অতিবাহিত করে তবে জাহান্নামের শাস্তির অধিকারী সাব্যস্ত হবে। যেমনটি ৩০ পারার সূরা যিলযালের ৭ ও ৮ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
فَمَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ خَیۡرًا یَّرَہٗ ؕ(۷) وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ (۸)
(পারা ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত ৭ ও ৮)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: সুতরাং যে এক অণু পরিমাণ সৎকাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে এবং যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে।
নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান সেই, যার মন ও মনে গুনাহের ভয়াবহতা দ্বীর্ঘস্থির হয়ে আছে এবং সে শুধু নিজেকে এর থেকে বাঁচায় না বরং নেকী করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করে, কিন্তু আফসোস! শত কোটি আফসোস! দ্বীন থেকে দূরত্ব এবং ইসলামী জ্ঞানের অভাবের প্রতিফল আমাদের সামনে বিদ্যমান যে, চারিদিকে গুনাহের প্রচন্ডতা চলছে, যেদিকেই দৃষ্টি দিই আমলহীনতায় ও বিপদগামী, অতচ আল্লাহ পাকের বিধানাবলীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিফল ধ্বংসযজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু নেই।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিশ্চয় গুনাহের মাধ্যমে কখনোই কোন উপকারীতা অর্জিত হতে পারেনা, বরং এতে ক্ষতিই ক্ষতি। গুনাহের কিরূপ ভয়াবহতা যে, এর ধ্বংসযজ্ঞতার অনুমান এই বিষয় থেকে করুন।
আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর বিন খাত্তাব رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: তোমরা আল্লাহ পাকের এই বাণী দ্বারা কখনোই ধোঁকায় পরোনা:
مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَہٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِہَا ۚ وَ مَنۡ جَآءَ بِالسَّیِّئَۃِ فَلَا یُجۡزٰۤی اِلَّا مِثۡلَہَا
(পারা ৮, সূরা আনআম, আয়াত ১৬০)