Book Name:Yaad e Ilahi Aur Is Kay Tarika
اِنَّ السَّابِقِیْنَ الَّذِیْن یَسْتَہْتِرُوْنَ بِذِکْرِ اللہِ অর্থাৎ হে মুয়ায! (মূলত) আগে অতিত্রুমকারী তো তারা, যারা আল্লাহ পাকের যিকিরে অনেক আগ্রহ রাখে। (জামেউল উলুম, ৪৫১ পৃষ্ঠা)
মে’রাজ শরীফের হাদীসে পাকে রয়েছে, আল্লাহ পাকের প্রিয় রাসূল صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মে’রাজের রাতে আরশের নুর দ্বারা আবৃত এক ব্যক্তিকে দেখলাম, আমি জিজ্ঞাসা করলাম: مَنْ
هٰذَا ؟اَمَلَکٌ؟
তিনি কে? কোন ফেরেশতা? বলা হলো: না। আমি বললাম: اَ نَبِیٌّ؟
কোন নবী? বলল: না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম: مَنْ
هُوَ؟ তাহলে তিনি কে? উত্তর দিলো (যেটার সারাংশ হলো) তিনি ঐ ব্যক্তি, যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে: (১) তার মুখ সব সময় আল্লাহ পাকের যিকির দ্বারা সতেজ থাকতো,
(২) তার অন্তর মসজিদের দিকে লেগে থাকতো, (৩) আর তার কারণে কখনো তার মাতা পিতাকে মন্দ বলা হয়নি। (জামেউল উলুম ওয়া হিকম, ৪৫৩ পৃষ্ঠা)
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! চিন্তা করুন! অধিকহারে আল্লাহ পাকের যিকির, মসজিদে মন লাগিয়ে রাখা এবং মাতা পিতার অসম্মানের কারণ না হওয়া, এই তিনটি বৈশিষ্ট্য কেমন শ্রেষ্ঠ ও পছন্দনীয় যে, এই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন এবং তাকে আল্লাহ পাকের আরশের নুর দ্বারা আবৃত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। আল্লাহ পাক আমাদেরকেও এই তিনটি বৈশিষ্ট্য অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
হযরত আবু সুলায়মান দারানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: জান্নাতে খালি যমিন রয়েছে। যখন বান্দা যিকির করে তখন ফেরেশতারা ঐ জান্নাতী যমিনে তার জন্য বাগান লাগানো শুরু করে দেয়, বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত যিকির করতে থাকে, ফেরেশতারা বাগান লাগাতে থাকে, যখন বান্দা থেমে যায় তখন ফেরেশতারাও থেমে যায়। (রিসালায়ে কুশায়রিয়া, ২৫৯ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ পাক তাঁর স্মরণকারীকে স্মরণ করে থাকেন
২য় পারার সূরা বাকারার আয়াত নং ১৫২তে ইরশাদ করেন:
فَاذۡکُرُوۡنِیۡۤ اَذۡکُرۡکُمۡ وَ اشۡکُرُوۡا لِیۡ وَ لَا تَکۡفُرُوۡنِ
(পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৫২)