Book Name:Nekiyan Chupaye
দিয়ে রিয়াকারীতে লিপিবদ্ধ করে দেয়া হয়, ব্যস বান্দা যেনো আল্লাহ পাককে ভয় করে, নিজের দ্বীনের হিফাযত করে এবং নিশ্চয় রিয়াকারী শিরকে আসগর তথা ছোট শিরক।
(নেকীয়া চুপাও, ২২ পৃষ্ঠা)
হযরত আল্লামা আব্দুল গনী নাবলূসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যেহেতু রিয়া ও একনিষ্টতার মধ্যে প্রতিটিতে শয়তানী চাল ও ধোকাবাজি রয়েছে সেহেতু তোমাদের সতর্ক থাকা আবশ্যক। ব্যস! যদিওবা তুমি জানো না যে, তুমি মুখলিস (নিষ্টাবান) নাকি রিয়াকার তো তোমার নেক আমল গোপন করাই উত্তম, কেননা এতে তোমার জন্য কোন প্রকার ক্ষতি নেই।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আসুন! রিয়াকারীর আপদ থেকে মুক্তি পেতে এবং নিজের নেক আমল গোপন করার মানসিকতা তৈরী করতে হযরত দাউদ তাঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র জীবনের একটি ঈমান তাজাকারী ঘটনা শুনি।
চল্লিশ বছর নফল রোযা রাখেন কিন্তু...
হযরত দাউদ তাঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লাগাতার চল্লিশ (৪০) বছর পর্যন্ত রোযা রাখতে থাকেন কিন্তু তাঁর একনিষ্টতার অবস্থা এমন ছিলো যে, নিজের পরিবারের লোকেরাও জানতে পারেনি। তা এভাবে যে, কাজে যাওয়ার সময় দুপুরের খাবার (Lunch) সাথে নিয়ে নিতেন এবং পথে কাউকে দিয়ে দিতেন, মাগরিবের পর ঘরে এসে খাবার খেয়ে নিতেন।
(তারিখে বাগদাদ, ৮/৩৪৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিজের নেক আমল, রোযা সদকা ও খয়রাতকে গোপন রাখা সম্পর্কে হযরত ঈসা عَلَیْہِ الصَّلٰوۃُ وَ السَّلَام ’র বাণী হলো: যখন তোমাদের মধ্যে কেউ রোযা রাখবে তখন সে যেনো তার মাথা ও দাঁড়িতে তেল লাগিয়ে এবং ঠোঁটেও হাত বুলিয়ে দেয়া, যাতে মানুষ জানতে না পারে যে, সে রোযাদার