Book Name:Nekiyan Chupaye
কান্নাকাটি করছিলেন, তখন কিছু মানুষ দেখলো যে, তাঁর মাথায় একটি নূরানী প্রদীপ আলোকিত হয়ে আছে, যার আলোতে চোখ হতবাক হচ্ছিল। সকালে তাঁর দরবারে রাতের কারামত সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো, তখন তিনি ব্যাকুল হয়ে গেলেন যে, মানুষের মাঝে তাঁর ইবাদত কেন প্রকাশ পেলো? ব্যাকুল অবস্থায় নিজের হাত আল্লাহ পাকের দরবারে উঠিয়ে দিয়ে আরয করলেন: “হে গোপনীয় বিষয়ে অবহিত পরওয়ারদিগার! আমার গোপনীয়তা প্রকাশ পেয়ে গেছে, অতএব এখন আর আমি এই প্রসিদ্ধির পর জীবিত থাকতে চাইনা।” একথা বলে নিজের মাথা সিজদায় রেখে দিলেন। লোকেরা যখন নেড়ে দেখলেন, তখন দেখা গেলো তার রূহ (শরীর হতে) বের হয়ে গেছে।
(রউযুর রায়াহীন, ২৮৮ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
নিজের নেক আমল গোপন করার অনন্য পদ্ধতি
হযরত আবুল হাসান মুহাম্মদ বিন আসলাম তুসী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিজের নেকী সমূহ গোপনের প্রতি খুব বেশি খেয়াল রাখতেন, এমনকি একবার বলতে লাগলেন: “যদি আমার ক্ষমতা থাকতো তবে আমি আমল লেখক উভয় ফিরিশতা থেকেও গোপনে ইবাদত করতাম।” হযরত আবু আব্দুল্লাহ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি বিশ (২০) বছরেরও বেশি সময় ধরে হযরত আবুল হাসান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র সাহচর্যে ছিলাম, কিন্তু জুমা মুবারক (এবং অন্যান্য ফরয ও ওয়াজিব) ব্যতীত কখনোই তাঁকে দুই রাকাত নফল নামাযও পড়তে দেখিনি, কেননা তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পানির পাত্র নিয়ে নিজের বিশেষ কক্ষে চলে যেতেন ও ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে নিতেন। আমি কখনোই জানতে পারিনি যে, তিনি কক্ষে কি করছেন, এমনকি একদিন তাঁর সন্তান জোরে জোরে কান্না করতে