Book Name:Nekiyan Chupaye
রয়েছে, যেমন; এরূপ ব্যক্তি যারা মানুষের ইমাম, লোকেরা তার প্রতি ভক্তি ও ভালবাসা পোষণ করে এবং নেক আমলে তার অনুসরন করে তবে এরূপ ব্যক্তির মানুষের উৎসাহ প্রদানের নিয়্যতে নিজের আমলকে প্রকাশ করা শুধু জায়িয নয় বরং উত্তম।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে বর্ণিত: নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: গোপন ইবাদত প্রকাশ্য ইবাদতের চেয়ে উত্তম এবং মানুষ যাকে অনুসরণ করে তার প্রকাশ্যে ইবাদত গোপন ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (শুয়াবুল ঈমান, ৫/৩৭৬, হাদীস: ৭০১২)
নিজের কাছ থেকে অপবাদ দূর করতে ও মানুষকে কু-ধারনা থেকে বাঁচাতে নিজের আমল প্রকাশ করার অনুমতি রয়েছে, যেমনটি তাফসীরে রুহুল বয়ানে রয়েছে: যদি নেক আমল ফরযের মধ্যে হয় তবে তো ফরযের হকের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, তা প্রকাশ্যে সম্পাদন করা। রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাকের ফরয সমূহ গোপন করা উচিৎ নয়। (আন নিহায়া, ৩/৩৪৮)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মানুষের উচিৎ, তার মাঝে যেসকল গুণাবলী রয়েছে বা তার যেকোন নেক আমল সম্পাদন করার সৌভাগ্য অর্জিত হয়েছে তবে আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা যে, তিনিই এই গুণ এবং নেক আমল করার তৌফিক দান করেছেন। অতঃপর আমল করে নেয়ার পর ভয়ের অবস্থা সৃষ্টি হওয়া যে, তার এই আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে নাকি হয়নি? যখন আমল কবুলিয়্যতের বিষয়ে জানাই নেই তখন এই আমলের ব্যাপারে মানুষকে জানানো এবং দেখানোর মধ্যে কি লাভ রয়েছে? তবে হ্যাঁ! যদি সেই নেক আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হয় তবে এর প্রতিদান প্রদানকারী পরওয়ারদিগার তাকে