Qabar Kaise Roshan Ho

Book Name:Qabar Kaise Roshan Ho

করতো। অতঃপর আযাব তার বুক অথবা পেটের দিক থেকে আসবে তখন তারা বলবে তোমার জন্য আমাদের দিকে কোন পথ নেই, কেননা এই ব্যাক্তি রাতে সূরা মূলক তিলাওয়াত করতো, তারপর মাথার দিক থেকে আসবে তখন মাথা বলবে তোমার জন্য আমাদের দিকে কোন পথ নেই, কেননা এই ব্যাক্তি রাতে সূরা মূলক তিলাওয়াত করতো, সুতরাং এই সূরাটি প্রতিবন্ধক, এটি কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে, তাওরাতে এই সূরার নাম সূরা মূলক, যে ব্যক্তি এটি রাতে পাঠ করে সে অনেক বেশি নেক আমলও করে।

(মুস্তাদরাক, কিতাবুত তাফসীর, সূরা মুলক, নাম্বার ৩৮৯৩, ৩য় খন্ড, ৩২২ পৃষ্ঠা)

 

        আ'লা হযরত মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সূরা মূলক সম্পর্কে বলেন: এই  সূরার (অর্থাৎ সূরা মূলকের) সমতুল্য এমন কিছুই নেই যা কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে এবং স্বস্তি নিয়ে আসে, যদি এর পাঠকের কাছে আযাবের ফেরেশতারা আসতে চায়, তবে তা তাদের বাধা দেয়, যদি তারা অন্য দিক থেকে আসতে চায়, তবে তা সেদিকে তাদের বাধা দেয় এবং বলে তার কাছে এসো না, সে আমাকে পড়তো। ফেরেশতারা বলে: আমরা তাঁর আদেশে এসেছি তুমি যাঁর বাণী। তখন সে বলে: “তাহলে একটু দাঁড়াও, আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত তার কাছে এসো না" এবং আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়ে তার পাঠকের ক্ষমার জন্য এমনভাবে ঝগড়া করে যে, সৃষ্টিজীবের এমন ঝগড়া করার ক্ষমতা নেই। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা বিলম্বিত হলে সে বলে: সে আমাকে পাঠ করতো আর তুমি তাকে ক্ষমা করোনি। আমি যদি তোমার কালাম না হই, তাহলে আমাকে তোমার কিতাব থেকে বের করে দাও। তখন বলা হয়: যাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। সে অবিলম্বে বেহেশতে যায় এবং সেখান থেকে  রেশমী কাপড়, আরামের বালিশ, ফুল এবং সুগন্ধি নিয়ে কবরে আসে এবং বলে: আমার আসতে দেরি হয়ে গেলো তুমি ভয় পাওনি তো। তারপর বিছানা বিছায় এবং বালিশ রাখে। ফেরেশতারা রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে ফিরে যায়

(তাফসিরুল কুরআনিল আযীম, সূরা মুলক, ৮ম খন্ড, ১৯৫ পৃষ্ঠা মালফুযাতে আ'লা হযরত, ১৩৯ পৃষ্ঠা)

(৪) সদকা কবরকে আলোকিত করে

        কবরের অন্ধকারকে আলোয় এবং কবরের আতঙ্ককে স্বস্তি ও শান্তিতে পরিবর্তন করার একটি নেক আমল হলো আল্লাহ পাকের পথে সদকা করা। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اِنَّ الصَّدَقَۃَ لَتُطْفِئُ عَلٰی  اَهْلِہَا حَرَّ الْقُبُوْرِ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে দান সদকাকারীকে সদকা কবরের উত্তাপ থেকে রক্ষা করে وَ اِنَّمَا یَسْتَظِلُّ الْمُؤْمِنُ یَوْمَ الْقِیَامَۃِ فِیْ ظِلِّ صَدَقَتِہٖ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে মুসলমান কিয়ামতের দিন তার সদকার ছায়াতলে থাকবে।

(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ২১২ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩৩৪৭)

 

        তাই সদকা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, সদকা করার অনেক ফযিলত রয়েছে: সদকা করা মন্দের ৭০টি দরজা বন্ধ করে দেয় * সদকাকারী কিয়ামতের দিন তার সদকার ছায়াতলে থাকবে * সদকা কবরের গরম থেকে রক্ষা করে * সদকা গুনাহকে এমনভাবে মুছে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় * সদকা বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে * সদকা আয়ু বৃদ্ধি করে * সাদকা অপমৃত্যু এবং মন্দ মৃত্যু থেকে রক্ষা করে * সদকা আল্লাহ পাকের গযবকে প্রশমিত করে * সদকা জীবিকায় প্রশস্ততা এবং সম্পদে প্রাচুর্যতার কারণ হয় * সদকা অভাব