Qabar Kaise Roshan Ho

Book Name:Qabar Kaise Roshan Ho

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

        হে আশিকানে রাসূল! * আজ শবে বরাত, অর্থাৎ নাজাতের রজনী * আজ কল্যাণময়, বরকতময়, মহত্মপূর্ণ রজনী। * মুষলধারে রহমত বর্ষিত হচ্ছে * আজ ক্ষমা ও মার্জনার রজনী * এই রজনীতে আল্লাহ পাক স্বীয় বান্দাদের প্রতি অঝোর ধারায় রহমত অবতীর্ণ করেন * আজ দোয়া কবুল হওয়ার রজনী * আজ রিযিক বন্টনের রজনী।

 

লক্ষ লক্ষ গুনাহগারের ক্ষমা হয়ে যায়

        সকল মুসলমানের প্রিয় আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দিকা তৈয়্যবা তাহেরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: এক রাতে আমি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে বিছানায় না পেয়ে খুঁজতে লাগলাম, তখন জানতে পারলাম প্রিয় নবী রাসূলে হাসেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জান্নাতুল বাকীতে রয়েছেন, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আল্লাহ পাক শা'বানের ১৫ তম রাতে পৃথিবীর আসমানে তাজাল্লী বর্ষণ করেন, অতএব সেই রাতে বনু কালব গোত্রের ছাগলের পশমের চেয়েও বেশি গুনাহগারকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিযী, কিতাবুল সাওম, ২০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস ৭৩৯) বনু কালব ছিলো আরবের একটি গোত্র, কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে: তারা প্রচুর ছাগল লালন পালন করতো (মিরকাতুল মাফাতিহ, কিতাবুল সাওম, ৩য় খন্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা, ১২৯৯ নং হাদীসের পাদটীকা)

 

                        سُبْحٰنَ الله! একটি ছাগলের গায়ে যতগুলো পশম থাকে, কে তা গণনা করতে পারবে? জানা গেলো; আজকের রজনীতে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নয় বরং কোটি কোটি মানুষকে ক্ষমা করে দেয়া হয়

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

কবর আখিরাতের স্মরণ করিয়ে দেয়

       হে আশিকানে রাসূল! আমরা জানতে পারলাম! প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শবে বরাতে জান্নাতুল বকীতে তাশরীফ নিয়ে গিয়েছিলেন। বকী শরীফ মদীনার প্রসিদ্ধ কবরস্থান। এই  বর্ণনা থেকে জানা গেলো; আজ রাতে কবরস্থানে যাওয়া আমাদের প্রিয় নবী মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র রীতি। বছরের পর বছর ধরে শবে বরাতে কবরস্থানে যায় এবং নিজের আত্মীয়-স্বজন ও মৃত মুসলমানদের জন্য দোয়া করে থাকে আল্লাহ পাক আমাদেরও এরূপ করার তৌফিক দান করো শবে বরাতে বা এছাড়াও কবরস্থানে যাওয়া খুবই উপকারী। আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে হাশেমী মুহাম্মদে আরাবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কবরের দিকে তাকাও!  নিঃসন্দেহে কবরের দিকে তাকানো দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি সৃষ্টি করে এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় (ইবনে মাজাহ, কিতাবুল জানায়িয, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৫৭১)

 

৭টি শিক্ষামূলক কুরআনী আয়াত

        পারা: ৩০, সূরা আবাসা, আয়াত: ১৭ থেকে ২৩, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: