Qabar Kaise Roshan Ho

Book Name:Qabar Kaise Roshan Ho

সিদ্দিকা তায়্যিবা তাহিরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا থেকে বর্ণিত: مَنْ اِعْتَکَفَ اِیْمَاناً وَ اِحْتِسَابًا غُفِرَ لَہٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِہٖ অর্থাৎ যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে ও সাওয়াবের নিয়তে ইতিকাফ করবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (জামে' সগীর, ৫১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ৮৪৭৯) * অপর এক হাদীসে ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমযানুল মুবারকে ১০ দিন ইতিকাফ করলো, সে এমনই যেমন ২টি হজ্জ এবং ২টি ওমরা করলো। (জামে' সগীর, ৫১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস ৮৪৭৯)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

       প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজকের রজনীতে শিক্ষা ও উপদেশের জন্য কবরস্থান যাওয়া মুসলমানদের রীতি। বয়ানের পরিশেষে আসুন কবরস্থানে উপস্থিত হওয়ার কতিপয় মাদানী ফুল শ্রবণ করি:

 

কবরস্থানে উপস্থিত হওয়ার কতিপয় মাদানী ফুল

        প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দু'টি বাণী: (১) কবর যিয়ারত করো কেননা এটা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির কারণ আর আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৫৭১) (২) যে তার পিতামাতা উভয়ের অথবা যে কোন একজনের কবর প্রতি শুক্রবার যিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং নেককার হিসেবে লিখে দেয়া হবে।

(শুয়াবুল ঈমান, ৬ষ্ট খন্ড, ২০১ পৃষ্ঠা, হাদীস ৭৯০১)

       হে আশিকানে রাসূল! * মুসলমানদের কবর যিয়ারত করা সুন্নাত এবং আউলিয়ায়ে কিরামের মাযার ও শহীদদের মাযারে উপস্থিত হওয়া পরম সৌভাগ্যের বিষয় এবং তাঁদেরকে ইসালে সাওয়াব করা অতি পছন্দনীয় ও সাওয়াবের কাজ। * মাযার শরীফ বা কবর যিয়ারতের জন্য যাওয়ার সময় রাস্তায় অনর্থক কথাবার্তায় লিপ্ত না হওয়া। * কবরে তাজিমি সিজদা করা হারাম আর যদি ইবাদতের নিয়্যতে এরূপ করা হয় থাকে তাহলে কুফরী। * কবরস্থানে ঐ সাধারণ রাস্তা দিয়ে যাবেন, যেখানে পূর্বে কখনও মুসলমানদের কবর ছিলো না, যে রাস্তা নতুন তৈরী করা হয়েছে তা দিয়ে যাবেন না। "ফাতাওয়ায়ে শামীতে‌ রয়েছে" (কবরস্থানে কবর নিশ্চিহ্ন করে) যে নতুন রাস্তা বানানো হয়েছে তাতে চলাফেরা করা হারাম। * বরং নতুন রাস্তায় শুধুমাত্র ধারনা (সন্দেহ) হলেও তাতে চলাফেরা নাজায়িয ও গুনাহ। * কিছু ওলীর মাযারে দেখা গেছে যে, যিয়ারতকারীদের সুবিধার্থে মুসলমানের কবর ভেঙ্গে জায়গা প্রশস্ত করে দেয়া হয়, এই রকম জায়গায় ঘুমানো, হাটাচলা করা, দাঁড়ানো, তিলাওয়াত ও যিকির করার জন্য বসা হারাম, দূর থেকেই ফাতিহা পড়ে নিন। * কবরের উপর আগর বাতি জ্বালানো উচিৎ নয়, কেননা এটা বে-আদবী ও মন্দ কাজ। তবে হ্যাঁ! যদি (উপস্থিতদেরকে) সুগন্ধ (পৌঁছানোর) জন্য (জ্বালাতে চায় তবে) কবরের পাশে খালি জায়গা থাকলে সেখানে জ্বালাবে, কেননা সুগন্ধি পৌঁছানোপছন্দনীয় কাজ। * কবরের যিয়ারতের জন্য এই চার দিন উত্তম: সোমবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার। শুক্রবার ফজরের নামাযের পর যিয়ারত করা উত্তম।

(৫৫০ সুন্নাত ও আদাব, ৮৭-৯০ পৃষ্ঠা)

 

        বিভিন্ন সুন্নাত ও আদব শিখতে মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত বাহারে শরীয়ত তৃতীয় খন্ডের ১৬তম অধ্যায় এবং শায়খে তরীকত আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ  এর