Book Name:Qabar Kaise Roshan Ho
হযরত সুফিয়ান সাওরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে ব্যক্তি কবরের কথা অধিকহারে স্মরণ করবে, সে জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান পাবে এবং যে ব্যক্তি তার স্মরণে অবহেলা করবে, সে জাহান্নামের গর্ত হতে একটি গর্ত পাবে। (আত তাযকিরা লিল কুরতবী, ৮৭ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি, এখানে থাকার জন্য নয়, চলে যেতে এসেছি, আমরা যাই করি না কেনো, আমাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে হবে, আমাদেরকে কবরের গর্তে নামতে হবে, তাই এটাই ভালো যে, আমরা এখন থেকে কবর ও আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নিই।
দুনিয়া আখিরাতের প্রস্তুতির জন্যই নির্ধারিত
মনে রাখবেন! এই দুনিয়া খাওয়া-দাওয়া, সম্পদ সঞ্চয়, বাংলো নির্মাণ, বিলাসিতা, নিরর্থক দিন নষ্ট করার জন্য নয় বরং নেক আমল করে কবর ও আখিরাতের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্ধারিত। মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর শেষ খুতবায় বলেন: মহান আল্লাহ তোমাদেরকে দুনিয়া এজন্য দান করেছেন, যাতে তোমরা এর মাধ্যমে আখিরাতের প্রস্তুতি নিতে পারো, এজন্য দান করেননি যে, তোমরা এর মধ্যে মগ্ন হয়ে যাবে। নিশ্চয় দুনিয়া নশ্বর এবং আখিরাত অবিনশ্বর। নশ্বর দুনিয়া যেনো তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে অবিনশ্বর আখিরাত থেকে উদাস না করে দেয়। নশ্বর দুনিয়াকে অবিনশ্বর আখিরাতের উপর অগ্রাধিকার দিও না, কারণ দুনিয়া নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং নিশ্চয় আল্লাহ পাকের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আল্লাহকে ভয় করো, কারণ তাঁর ভয় তাঁর আযাবের জন্য ঢাল স্বরূপ এবং আল্লাহর নিকট পৌঁছানোর একটি মাধ্যম। (মাওসুআতু ইবনে আবিদ দুনিয়া, ৫ম খন্ড, ৮৩ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে রাসূল! যদি কবরের আতঙ্ক ও একাকীত্বকে শান্তি ও স্বস্তিতে রূপান্তরিত করা, কবরের অন্ধকারকে আলোতে পরিণত করা এবং কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই তাকে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সেই কাজগুলো কী কী যা করলে আমরা আমাদের কবর আলোকিত করতে পারবো, কবরের আতঙ্ক ও একাকীত্ব থেকে মুক্তি পাবো; আসুন! শ্রবণ করি:
প্রথম কাজ: আপনার আক্বীদা সঠিক রাখুন এবং সর্বদা এর উপর দৃঢ়তার সহিত অটল থাকুন! কেননা কবরে আসল পরীক্ষা হলো আক্বীদারই। নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদির হিসাবও হবে, কিন্তু কিয়ামতের দিন। কবরে ৩টি প্রশ্ন করা হবে: (১) তোমার প্রতিপালক কে? (২) তোমার দ্বীন কী? (৩) এই সত্তা (অর্থাৎ সর্বশেষ নবী মুহাম্মদে আরাবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) সম্পর্কে কী বলতে?
এই তিনটি প্রশ্নই হলো আক্বীদার। তাই সবসময় আপনার আক্বীদা শাক্তিশালী রাখুন! আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সম্পর্কে, আল্লাহর কিতাব, তাঁর রাসূল, ফেরেশতাগণ, সাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বাইতের ব্যাপারে সর্বদা সেই আক্বীদা পোষণ করুন যা সাহাবায়ে