Ya ALLAH! Mein Hazir Hon

Book Name:Ya ALLAH! Mein Hazir Hon

হজ্জে আসার বড়ই মন চায়...!

          হে আশিকানে রাসূল! হজ্জের সময় ঘনিয়ে আসছে, কাফেলা হেরেমের দিকে যাত্রার জন্য প্রস্তুত, যেই সকল সৌভাগ্যবানের নাম এই বছর হাজীদের তালিকায় এসে গেছে, তারা প্রবল আগ্রহ ও ভালবাসার সহিত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছে, ইহরাম কেনা হচ্ছে, জরুরী মালামাল প্যাকিং করা হচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই কাফেলা হেরেমের দিকে যাত্রা শুরু করবে, হায়! আমরা নিঃস্ব, গুনাহগারদেরও যেনো এই সৌভাগ্য অর্জিত হয়, আমরাও যেনো  হজ্জ করি, সাফা ও মারওয়ার সাঈ করি, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করি, মীনায় কুরবানি করি, হাজরে আসওয়াদে আনন্দচিত্তে চুমু দেয়ার তৌফিক লাভ করি আর হায়! শতকোটি হায়! যেনো আনন্দচিত্তে কাবা শরীফের চারপাশে প্রজাপতির ন্যায় চক্কর লাগানোর (অর্থাৎ তাওয়াফ করার) সৌভাগ্য অর্জিত হয়ে যায়।

 

হাজী ও আল্লাহর ভালবাসার কার্যত বহিঃপ্রকাশ

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটু ভাবার বিষয়! এটি কিরূপ মনোরম দৃশ্য যে, আল্লাহ পাকের বান্দা, যাকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন, যাকে আল্লাহ পাক নিঃশ্বাস দান করেছেন, জীবন দান করেছেন, শক্তি দান করেছেন, সেই বান্দা ইহরাম পরিধান করে আল্লাহ পাকের হুকুমের উপর আমল করে মক্কায় পৌঁছে, لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির) ’র স্লোগান দেয় এবং কার্যতভাবে এটা স্বীকার করে যে, হে আল্লাহ! আমি তোমারই বান্দা, তুমিই আমার প্রতিপালক, হে আল্লাহ পাক! আমি তোমার পবিত্র দরবারে উপিস্থিত হয়েছি, হে পরম করুণাময় ও দয়ালু প্রতিপালক! তুমি আমাকে কাবার চারপাশে তাওয়াফ করার আদেশ দিয়েছো, আমি তাওয়াফ করতে উপস্থিত হয়েছি, হে দয়ালু আল্লাহ! তুমি আমাকে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করার আদেশ দিয়েছো, আমি আমার বাড়ি-ঘর ছেড়ে, অনেক দূর থেকে সফর করে, তীব্র গরম ও প্রচন্ড রোদের তোয়াক্কা না করে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে গেছি।

          মোটকথা এটা কতইনা মনোরম ও প্রেমময় ধরন, এতে আল্লাহ পাকের ভালবাসার কিরূপ ঝলক পাওয়া যায় যে, বান্দা তার প্রতিপালকের দরবারে আরয করছে: لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির)

 

তালবিয়ার ফযীলত সম্বলিত ৩টি হাদীসে মুবারাকা

          (১) আমাদের আক্বা মাওলা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَا مِنْ مُلَبٍّ يُلَبِّي إِلَّا لَبَّى مَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ مِنْ شَجَرٍ وَّحَجَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الْاَرْضُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا অর্থাৎ যখন তালবিয়া (অর্থাৎ لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک) পাঠকারী তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার সাথে তার ডান ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যত বৃক্ষ রয়েছে, যত পাথর রয়েছে, তা সবই তালবিয়া পাঠ করে থাকে। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, ৬০১ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৬৩৪) (২) অপর এক হাদীস শরীফে রয়েছে: রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে এই অবস্থায় সকাল করলো যে, সে ইহরাম পরিধান অবস্থায় ছিলো, তালবিয়া পাঠ করছিলো (এবং সারাদিন এই অবস্থায় ছিলো) এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেলো, তবে এই যে সূর্য অস্ত গেলো, তা তার গুনাহকে সাথে নিয়ে অস্ত গেলো, এখন এই বান্দা