Ya ALLAH! Mein Hazir Hon

Book Name:Ya ALLAH! Mein Hazir Hon

কাবার যিয়ারত দ্বারা ধন্য হয়েছিলো, যারা হজ্জ বা ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলো, তারা সবাই আলাদা হয়ে কাবার পাশে জড়ো হয়ে যাবে, তাদের চেহারা হবে সাদা এবং জাহান্নাম থেকে র্নিভয় হয়ে কাবা শরীফের তাওয়াফ করতে থাকবে, তাদের মুখেও একই কালেমা لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির) অতঃপর ফেরেশতা ডাক দিবে: হে কাবা! এবার তো তোমার আবেদন পূরণ হয়ে গেলো, এখন তো চলো...! এবার কাবা শরীফও তালবিয়া পাঠ করবে (অর্থাৎ কাবা শরীফও বলবে: لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির), অতঃপর কাবা শরীফকে এরূপ শান সহকারে হাশরে আনা হবে যে, দুনিয়ায় কাবার যিয়ারতকারীরা এর চারপাশে তাওয়াফ করতে থাকবে আর তাদের সকলের মুখে এই কালেমা হবে। لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک  (আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির)

(আর রাওদ্বুল ফায়িক, ৪৮ পৃষ্ঠা)

          হে আশিকানে রাসূল! ভাবুন! لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک পাঠ করার কিরূপ বরকত, হাশরের ময়দান...! ৫০ হাজার বছরের দিন, তামার উত্তপ্ত জমিন, সোয়া মাইল দূরত্বে থেকে আগুন বর্ষণকারী সূর্য, জাহান্নাম সামনে, জান্নাত সামনে, পুলসিরাত লাগিয়ে দেয়া হবে, কাহহারের সম্মুখিন হতে হবে, আমল ওজন করা হবে, সেই পরিস্থিতিতে কাবা শরীফের যিয়ারতকারী, খানায়ে কাবার তাওয়াফের সৌভাগ্য অর্জনকারী, لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک স্লোগান প্রদানকারী, কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে এরূপ মর্যাদার সাথে আসবে যে, কাবা শরীফ তাদের সাথে থাকবে, এই সৌভাগ্যবানরা কাবার তাওয়াফে ব্যস্ত থাকবে এবং আনন্দচিত্তে لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک স্লোগান দিতে থাকবে।

          আল্লাহ পাক আমাদেরও কাবা শরীফের যিয়ারত করার তৌফিক দান করুন, আমাদেরও হজ্জ করার সৌভাগ্য নসীব করুন, ওমরা করা, সাফা ও মারওয়ার সাঈ করা, মীনা ও আরাফাতে অবস্থান করার তৌফিক নসিব করুন, হায়! আমরাও যেনো আনন্দচিত্তে لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک স্লোগান লাগাই, আল্লাহ পাক আমাদের তৌফিক  নসিব করুন

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

প্রত্যেক নামাযের পূর্বে لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک পড়তেন...!

          হে আশিকানে রাসূল! সাধারণত তালবিয়া (অর্থাৎ لَبَّیْک اَللّٰہُمَّ لَبَّیْک) ইহরাম পরিধান করেই পাঠ করা হয়, কিন্তু যদি আমরা এর অর্থের প্রতি ভাবি তবে এই ভিত্তিতে একজন মুসলমানের জীবনের একটি মুহুর্তও এমন নেই, যা তা থেকে পৃথক হয়ে অতিবাহিত করতে পারে, মুসলমানের অর্থই এটা: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আদেশের প্রতি মাথা নতকারী, অতএব মুসলমানের জীবনের এক একটি মুহুর্ত এই ভাবনায়, এই বিশ্বাসের সহিত এবং এই আগ্রহ ও প্রেরণার সহিত অতিবাহিত করা উচিৎ যে, তার মন থেকে, তার মস্তিস্ক থেকে,