Hajj e Wida Ke Iman Afroz Waqiaat

Book Name:Hajj e Wida Ke Iman Afroz Waqiaat

          হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন, কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়বয়ান শুনার পূর্বেও ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শেখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

হাজীদের জন্য মাগফিরাতের সুসংবাদ

          বিদায় জ্বের (অর্থাৎ রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জাহেরী হায়াতে মুবারকায় সর্বশেষ যেই হজ্ব পালন করেছেন) সময় ছিলো, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আরাফাতের ময়দানে অবস্থানরত ছিলেন, সাহাবীয়ে রাসূল হযরত আব্বাস বিন মিরদাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আল্লাহ পাকের শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم রাতের সময় দোয়া করলেন (এই দোয়া কার জন্য ছিলো আর কি ছিলো? বলেন:) لِاُمَّتِہٖ بِالْمَغْفِرَۃِ وَ الرَّحْمَۃِ অর্থাৎ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দোয়া ছিলো তাঁর প্রিয় উম্মতের জন্য আর তিনি আল্লাহ পাকের নিকট উম্মতের ক্ষমা রহমত প্রার্থনা রেছিলেন

(ইবনে মাজাহ, আল মানাসিক, বাবুদ দোয়া বিআ’রাফা, ৪৮৯ পৃ:, হাদী: ৩০১৩)

          এক বর্ণনায় রয়েছে: فَاَکْثَرَ الدُّعَاء (শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফি হাশর, ফসলুন ফিল কিসাসি মিনাল মাযালিম/ ৩০৪, হাদী: ৩৪৬) অর্থাৎ রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শুধুমাত্র একবার দোয়া করেননি বরং বার বার অধিকহারে একই দোয়া করতে রইলেন, মাওলা! আমার উম্মতকে ক্ষমা করে দাও, হে দয়ালু প্রতিপালক! আমার উম্মতের উপর রহমত অবতীর্ণ করো

          হযরত আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যখন বার বার দোয়া করলেন তো আল্লাহ পাক হী প্রেরণ করলেন, বললেন: হে মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমি আপনার দোয়া কবুল করেছি এবং আপনার উম্মতকে ক্ষমা করে দিয়েছি কিন্তু যালিম ব্যতীত কেননা তার কাছ থেকে মযলুমের প্রতিশোধ অবশ্যই নেয়া হবে

          এতে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের দরবারে আরয করলেন: হে দয়ালু প্রতিপালক! যদি তুমি চাও তবে মযলুমকে জান্নাত দান করো আর যালিমকে ক্ষমা করে দাও (এভাবে মযলুমের প্রতিদান মিলে যাবে, যালিমের উপর দয়া অনুগ্রহও হয়ে যাবে)

 

          হযরত আব্বাস বিন মিরদাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দ্বিতীয় যেই দোয়াটি করলেন, সেই রাতে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সেটার কোন উত্তর আসেনিঅতঃপর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মুযদালিফা চলে গেলেনভোরের সময় ছিলো, হঠাৎ রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم চেহারায় মুচকি হাসি ভেসে উঠলো, মুসলমানদের প্রথম দ্বিতীয় খলিফা হযরত আবু বকর ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا যখন রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে