Hajj e Wida Ke Iman Afroz Waqiaat

Book Name:Hajj e Wida Ke Iman Afroz Waqiaat

হিজরতের পর তিনি শুধুমাত্র একবারই হজ্ব করেছেন(বুখারী, কিতাবুল মাগাযি, বাবু হুজ্জাতুল বিদা, ১০৯২ পৃ, হাদী: ৪৪০৪)

          হজ্ব ফরয হওয়ার বিধান হিযরতের নবম বছরে অবতীর্ণ হয়েছে, বছর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কিছু হিকমতের কারণে স্বয়ং নিজে হজ্ব করেননি বরং নিজের নায়ে হিসেবে হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে হজ্বের আমীর বানিয়ে পাঠিয়েছেন(শরহুয যুরক্বানী, আল মাকসাদুত তাসি, ১১ / ৩২৭) এতে  ইশারা ছিলো রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এরপর খলিফা হযরত আবু বকর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হবেনএর আগের বছর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজে হজ্ব পালন করেছেন

 

বিদায় হজ্বের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

          এটা হিজরতের দশম বছর ছিলো, মদীনায়ে পাক দূর দূরান্তের গোত্রসমূহের (Tribes) মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে এই বছর যেসব সৌভাগ্যবানরা হজ্ব করার জন্য পবিত্র মক্কায় যাবে, ঐসব হাজীদের কাফেলার সর্দার রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থাকবেন

          ! اَلله ! اَلله মক্কা শরীফে সফর, সেটাও রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে...!! কাবা শরীফ  তাওয়াফ করার সৌভাগ্য, প্রেম ভালোবাসাপূর্ণ ইবাদত অর্থাৎ হজ্ব পালনও রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নির্দেশনায়...!! سُبْحٰنَ الله!

          এই ঈমান উদ্দীপক সংবাদ শুনে সাহাবায়ে কেরামের رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ মধ্যে খুশির ঢেউ খেলতে লাগলো, যেই শুনলো, নিজের জন্য খুশি উদযাপন সফরের জিনিসপত্র প্রস্তুত করতে লাগলো

          দেখতে দেখতে যেভাবে হজ্বের দিন সমূহ নিকটবর্তী হচ্ছিলো, ভালোবাসা আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছিলো, দূর দূরান্ত থেকে কাফেলা করে করে মদীনায়ে পাকের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো, দেখতে দেখতেই মদীনায়ে পাকের সাজ সজ্জা আরও বেড়ে গেলো, অলি-গলি বাজারসমূহে উপচে পড়া ভিড় হতে লাগলো

          এটি কেমন সৌভাগ্যের ব্যাপার! আজ হাজীগণ সবুজ গম্বুয দেখে দেখে, সোনালী জ্বালী দ্বারা চক্ষু শীতল ঈমান তাজা করে, সাহাবায়ে কেরামগণ رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ স্বয়ং রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দীদার দ্বারা নয়ন শীতল করছিলো

          ! اَللهُ اَكْبَر এরা লেন সাহাবায়ে কেরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ, যারা মহান সৌভাগ্যের আধিকারী...!! হায়! তাঁদের সদকায় আমাদের ভাগ্যও যদি চমকে উঠতো, হায়! মদীনায় যাওয়া সী হয়ে যেতো, হায়! কখনো ভাগ্যে যদি নাও জুটে অন্তত স্বপ্নেও যদি কখনো দীদারে মুস্তফা সী হয়ে যেতো

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ১০ (দশম) হিজরী, যিলক্বদের ২৫ তারিখ, দিনটা শনিবার (Saturday) ছিলো, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যোহরের নামায মসজিদে নববীতে আদায় করলেন, সফরে রাওনা হওয়ার পূর্বে তাজা গোসল করলেন, সফরের প্রস্তুতি হলো আর এই শান শওকত সহকারে হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন, হযরত জাবের رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: সামনে, পিছে, ডানে, বামে, যেদিকেই দৃষ্টি যাচ্ছিলো, মানুষ আর মানুষ দেখা যাচ্ছিলো