(Camel) এর সাথে ঠেক লাগিয়ে বসে গেলাম, হুযুরে আকদাস صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অনেকক্ষণ পর খুশিমনে হাসিমুখে তাশরিফ আনলেন। আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ ! صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমার পিতামাতা আপনার প্রতি কুরবান...!! যাওয়ার সময় আপনি খুবই পেরেশান (Sad) ছিলেন, ফিরার সময় খুশিমনে ফিরে আসলেন, এটার কারণ (Reason) কি? বললেন: আমি আমার আম্মা (হযরত আমেনা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا) এর মাযারে গিয়েছিলাম, আমি দোয়া করলাম তো আল্লাহ পাক আমার আম্মাকে জীবিত করলেন, তিনি আমার উপর ঈমান আনলেন অতঃপর পূনরায় মাযারে তাশরিফ নিলেন। (আর রাউদ্বুল উনুফ, ওয়াফাতু আমেনা ওয়া হালু রাসূলিল্লাহ, ১/ ৩৩০)

হযরত উরওয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: নিশ্চয় রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দোয়ার কারণে আল্লাহ পাক হযরত আব্দুল্লাহ ও হযরত আমেনা رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا কে জীবিত করেছেন, তাঁরা উভয়ে ঈমান গ্রহণ করেছেন অতঃপর আপন আপন মাযারে আরাম করছেন।

(আর রাউদ্বুল উনুফ, ওয়াফাতু আমেনা ওয়া হালু রাসূলাল্লাহ,  ১/ ৩৩০)

মৃতকে জীবিত করা কি সম্ভব?

          !سُبْحَانَ الله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র পিতামাতার কেমন শান...!! নিশ্চয় হযরত আব্দুল্লাহ ও হযরত আমেনা رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا দুনিয়ার সৌভাগ্যবান পিতামাতা (Parents) তাঁদের আল্লাহ পাকের প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র মাতা পিতা হওয়ার মর্যাদা নসীব হয়েছে। হতে পারে কারো অন্তরে এই খেয়াল আসতে পারে যে, যারা দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছে, তারা দ্বিতীয়বার জীবিত হয়ে কিভাবে কালিমা পড়তে পারে? মনে রাখবেন! মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার এই  দুনিয়াতে জীবিত হওয়া অসম্ভব নয়, এটা অবশ্যই হতে পারে বরং এই রকমই হয়েছে, কুরআনে করীমে এমন কতো ঘটনা বিদ্যমান রয়েছে * কুরআনে করীমের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে বড় সূরা হলো সূরা বাকারা, যেই ঘটনার কারণে সেটাকে সূরা বাকারা বলা হয়, সেটা প্রথম পারার মধ্যেই রয়েছে, এই ঘটনার মধ্যে এই বিষয়ের আলোচনা রয়েছে, বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিলো, তার হত্যাকারী (Killer) কে পাওয়া যাচ্ছিলো না, হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام ’র নিকট বিচার আসলো, সুতরাং বনী ইসরাঈলদেরকে একটি গাভী জবেহ করার নির্দেশ দেয়া হলো, যখন তারা একটি নির্দিষ্ট প্রকারের গাভী জবেহ করলো তখন সেই গাভীর মাংসের একটি টুকরো সেই মৃত (Dead Body) কে খাওয়ানো হলো, সেটার বরকতে সেই মৃত জীবিত হয়ে গেলো এবং নিজের হত্যাকারীর (Killer) নামও বলে দিয়েছে * এইভাবে দ্বিতীয় পারায় বনী ইসরাঈলের অসংখ্য লোক মরার পর ‍দ্বিতীয়বার জীবিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ রয়েছে * বরং আল্লাহ পাকের নবী হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام ’র প্রসিদ্ধ মু’জিযা হলো তিনি মৃতদেরকে জীবিত করতেন। যেখানে হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام ’র এমন শান যে আল্লাহ পাকের দানক্রমে মৃতদেরকে জীবিত করতে পারেন তো প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কেমন শান হবে...? তাঁর দোয়ার ফলে পিতামাতাদের জীবিত হওয়াটা কোন বিবেকের পরিপন্থি বিষয়।