মাস)। রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করলেন: اَیُّ بَلَدٍ ہٰذَا؟ এটা কোন শহর? (এটাও একদম স্পষ্ট বিষয় ছিলো, হজ্ব মক্কা নগরীতে পালন করা হয়ে থাকে কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এইবারও আদব বজায় রেখে) উত্তর দিলেন: اَللهُ وَرَسُوْلُہٗ اَعْلَم  অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভালো জানেন। প্রিয় নবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: اَلَیْسَ الْبَلَدَۃَ؟ এটা কি বালাদা (অর্থাৎ মক্কায়ে মুকাররমা) নয়? সকলে বললেন: কেনো নয়? (নিশ্চয় এটি মক্কায়ে মুকাররমা)। রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তৃতীয় প্রশ্ন করলেন: اَیُّ یَوْمٍ ہٰذَا؟ এটা কোন দিন? সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এইবারও আদব সহকারে বললেন: اَللهُ وَرَسُوْلُہٗ اَعْلَم  অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভালো জানেন। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: اَلَیْسَ یَوْمَ النَّحْرِ؟ এটা ইয়াউমে নাহর নয় কি? সকলে বললেন: কেনো নয়, (এটা ইয়াউমে নাহর অর্থাৎ কুরবানীর দিন)। এখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: নিশ্চয় এই দিন, এই শহর, এই মাস যেমন সম্মানের, তেমনি তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সম্মান একে অপরের জন্য সম্মানের।

(বুখারী, কিতাবুল মাগাযি, ১০৯২ পৃ, হাদীস: ৪৪০৬)

          ! اَلله ! اَلله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র এই ‍মুবারক খুতবা থেকে অনুমান করুন যে একজন মুসলমানের জান, তার মাল ও তার সম্মান এবং মর্যাদা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ (Importance)। ওলামায়ে কেরামগণ বলেন: রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই স্থানে মুসলমানের জান ও মাল এবং সম্মান ও মর্যাদাকে মক্কায়ে পাকের সম্মানের মতো বলে আখ্যায়িত করেছেন, উদ্দেশ্য এটা যে, মক্কায়ে মুকাররমায়, হজ্বের তারিখে, ইহরাম অবস্থায় একটি গুনাহ কয়েকটি পাপের সমষ্টি কেননা এতে আল্লাহ পাকের নাফরমানীও রয়েছে, মক্কায়ে পাকে, হজ্বের দিনসমূহে, ইহরামের ও সম্মানীত মাস সমূহের বিয়াদবীও, এইভাবে একজন মুসলমানের সম্মানহানি করা, কাউকে অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া, কারো সম্পদ অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা কয়েকটি অপরাধের সমষ্টি, এতে একটি ‍মুসলমানের হক নষ্ট, তার মনেকষ্ট দেয়া, এরপর এতে আল্লাহ পাকের নাফরমানীও ও সাথে সাথে রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মনে আঘাত দেয়াও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর উম্মতদেরকে খুবই ভালোবাসেন, সুতরাং যে তাঁর উম্মতদেরকে কষ্ট দিলো, মূলত সে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে কিভাবে ভালোবাসতে পারে। (মিরাাতুল মানাজীহ, ৪/১৮০) রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ اٰذٰی مُسْلِمًا فَقَدْ اٰذٰنِی অর্থাৎ যে (ব্যক্তি) কোন মুসলমানকে কষ্ট দিলো, সে (মূলত) আমাকে কষ্ট দিলো। (মু’জামুল আওসাত, ২/ ৩৮৬, হাদীস: ৩৬০৭)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد