Book Name:Mohabbat e Auliya Ke Fazail
সিজদা করতে হয়! একইভাবে যদি আল্লাহ পাককে ভালোবাসতে চাও তবে তাঁর বান্দাদের ভালোবাসো!
(মিরআতুল মানাজীহ, ৬/৫৯১-৫৯২ পৃ: সামান্য পরিবর্তন সহকারে)
ঈমানের জন্য সবচেয়ে মজবুত রশি
হে আশিকানে রাসূল! আউলিয়ায়ে কেরামদের প্রতি ভালোবাসার আমরা যেই ফযিলত শুনেছি * এই ঈমানী ভালোবাসার বরকতে জান্নাত পাওয়া যায় * জান্নাতে উচু উজ্জল অট্টালিকা পাওয়া যায় * এই ভালোবাসার বরকতে কিয়ামতের দিন নিরাপত্তা পাওয়া যাবে * আল্লাহ পাকের আরশের ছায়া নসিব হবে * আল্লাহ পাকের প্রিয় বান্দা হওয়ার সৌভাগ্য নসিব হবে, মনে রাখবেন! এসব নিয়ামত তখন পাওয়া যাবে, যখন লোক ঈমান সম্পন্ন হবে কেননা আখিরাতের সফলতার জন্য সবচেয়ে মৌলিক (Basic) শর্ত হলো ঈমান। এজন্য আমাদের নিজেদের ঈমানের হেফাযতের চিন্তাও করা উচিত।
এখন আমাদের ঈমান হেফাযত কিভাবে করা উচিত? সেটার পদ্ধতি শুনে নিন! প্রিয় নবী, রাসূলে পাক, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ سَرَّہَ اَنْ یَجِدَ حَلَاوَۃَ الْاِیْمَانِ যে ব্যক্তি ঈমানের মিষ্টতা পেতে চাই, فَلْیُحِبُّ الْمَرْءَ لَا یُحِبُّہٗ اِلَّا لِلّٰہ তার উচিত তাঁর (তথা আল্লাহ পাকের) বান্দাদের শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসা।
(মুসতাদরাক, কিতাবুল ঈমান, ১/১৪৭ পৃ:, হাদিস: ৩)
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হাদিসে পাক লিখেছেন, সাহাবিয়ে রাসূল হযরত বারা বিন আযিব رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমরা রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে বসা ছিলাম, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: اَیُّ عُرَی الْاِیْمَانِ اَوْثَقُ অর্থাৎ ঈমানের সবচেয়ে মজবুত রশি কোনটি? সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان আরয করলেন: নামায। বললেন: নামায অনেক উত্তম কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর এটি নয়। এরপর (সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان) আরয করলন: রমযানের রোযা। বললেন: রোযাও উত্তম ইবাদত কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর এটাও নয়। সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان আরয করলেন: জিহাদ। বললেন: এটাও উত্তম ইবাদত কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর এটা নয় অন্যকিছু। অতঃপর রাসূলে করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজেই উত্তর দিতে গিয়ে বললেন: নিশ্চয় ঈমানের সবচেয়ে মজবুত রশি হলো এটি যে তোমরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য (তাঁর বান্দাদের যেমন আউলিয়ায়ে কেরামদের) ভালোবাসা!
(মুসনদে ইমাম আহমদ, ৭/৫৩২ পৃ:, হাদিস: ১৯০২৭)
سُبْحَانَ الله! জানা হয়ে গেলো যে, ঈমান নিরাপদ রাখার জন্য সবচেয়ে মজবুত রশি হলো ঈমানী ভালোবাসা। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালোবাসা মানুষকে বিপদগামী হতে দেয় না। এখানে যতজন আশিকানে রাসূল আছেন, আশিকানে আউলিয়া আছেন তারা নিজেদের যাচাই করে নিন। অনেক এমন লোক রয়েছে যাদেরকে শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় * তারা নামায কাযা করে বসে * রোযা রাখার ব্যাপারে উদাসিন (Laziness) হয়ে যায়। এরকম হওয়া উচিত নয়, ভুল কাজ হলো নামায কাযা করা