Mohabbat e Auliya Ke Fazail

Book Name:Mohabbat e Auliya Ke Fazail

আয়োজন, তাঁদের ইছালে সাওয়াবের জন্য যেই তিলাওয়াতের আয়োজন হয়, খাবার, পানীয়, শিরনি ইত্যাদি বন্টন (Distribute) করা হয়ে থাকে, ক্ষুধার্তদের খাবার খাওয়ানো হয়ে থাকে, তাঁদের ভালোবাসায় তাঁদের মতো আমল করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে, সেই নেক আমলের সাওয়াব), এই প্রতিদান থেকে আলাদা (মিরআতুল মানাজীহ, /৬০৫ পৃ:, সামান্য পরিবর্তন সহকারে)

 

আল্লাহ পাকের প্রিয়ভাজন বানানোকারী আমল

          হে আশিকানে আউলিয়া! আউলিয়ায়ে কেরামের সাথে শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির খাতিরে ভালোবাসা পোষণ করার কেমন বরকত, বর্ণনা যদি করি তবে কতটুকু করবো? এই পবিত্র ঈমানী ভালোবাসার একটি সর্বোত্তম বরকত হলো যেই বান্দা আউলিয়ায়ে কেরামের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে সে আল্লাহ পাকের মাহবুব (তথা প্রিয়জন) হয়ে যায় আশিকে মদীনা, হযরত ইমাম মালেক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই বিষয়টি লিখেছেন যে, হযরত ইদ্রিস খোলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একবার আমি দামেষ্কের মসজিদে গেলাম, আমি দেখলাম সেখানে একটি নুরানী চেহারা বিশিষ্ট বুযুর্গ উপবিষ্ট রয়েছেন, তাঁর চার পাশে লোকজন সমবেত রয়েছে, (ইলমে দ্বীন শিখানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে) যখনই লোকদের মধ্যে কোন মতানৈক্য (Disagreement) হয় (উদহারণস্বরুপ ইলমের কোন বিষয়ে বুঝতে দুষ্কর হয়) তো তারা সেই নুরানী চেহারা বিশিষ্ট বুযুর্গুর কাছে যায়, তিনি তাদের সমস্যা সমাধান (Solve) করে দেন আমি লোকদের জিজ্ঞাসা করলাম: এই নুরানী চেহারা ওয়ালা বুযুর্গটি কে? উত্তর আসলো: তিনি সাহাবিয়ে রাসূল হযরত মুয়ায বিন জাবাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হযরত ইদ্রিস খোলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: (তখন তো আমি ফিরে আসলাম) পরেরদিন আমি চাইলাম যে, সবার আগে মসজিদে পৌঁছে যাবো! কিন্তু যখন পৌঁছলাম তো দেখতে পেলাম হযরত মুয়ায বিন জাবাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আমার পূর্বে মসজিদে তাশরিফ নিয়ে আছেন, তিনি নামায পড়ছিলেন, যখন তিনি অবসর হলেন তো আমি সামনে অগ্রসর হয়ে সালাম পেশ করলাম অতঃপর আরয করলাম: وَاللهِ اِنِّی لَاُحِبُّکَ لِلّٰه আল্লাহ পাকের শপথ! আমি আপনাকে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসি হযরত মুয়ায বিন জাবাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এটা শুনলেন তো বললেন: তুমি এই কথার উপর শপথ করছো? বললাম: জি! আল্লাহ পাকের শপথ! আমি আপনাকে ভালোবাসি বললেন: এখন হযরত মুয়ায বিন জাবাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আমার চাদর ধরে আমাকে সামান্য তার দিকে টেনে নিলেন, অতঃপর বললেন: তোমাকে মুবারকবাদ নিশ্চয় আমি রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে বলতে শুনেছি আল্লাহ পাক বলেছেন: যেই লোক আমার সন্তুষ্টির জন্য একে অপরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমার ভালোবাসা ওয়াজিব হয়ে গেলো (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, ৫০৩ পৃ:, হাদিস: ১৮২৮)

          আলহাজ্ব আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদিসে পাকের ব্যাখ্যায় বলেন: অর্থাৎ এটা অসম্ভব যে কেউ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য তার বান্দাকে ভালোবাসবে আর আল্লাহ পাক তাকে ভালোবাসবে না (যে কেউ আল্লাহ পাকের বান্দার সাথে শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ভালোবাসে তবে আবশ্যিকভাবে আল্লাহ পাকের প্রিয়ভাজন হয়ে যায়) মুফতি সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেন: আল্লাহ পাককে সিজদা করতে হলে কাবার দিকে মুখ করে