Book Name:Mohabbat e Auliya Ke Fazail
আউলিয়ায়ে কেরামদের শান
হে আশিকানে রাসূল! আউলিয়ায়ে কেরামগণ অনেক উচ্চ মর্যাদার মানুষ, আল্লাহ পাক তাঁদেরকে অনেক বড় বড় শান দান করেছেন। পারা: ১১, সূরা ইউনুস, আয়াত: ৬২-৬৩ এবং ৬৪ তে ইরশাদ করেন:
اَلَاۤ اِنَّ اَوْلِیَآءَ اللّٰہِ لَا خَوْفٌ عَلَیْہِمْ وَ لَا ہُمْ یَحْزَنُوْنَ ﴿ۚۖ۶۲﴾ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ کَانُوْا یَتَّقُوْنَ ﴿ؕ۶۳﴾ لَہُمُ الْبُشْرٰی فِی الْحَیٰوۃِ الدُّنْیَا وَ فِی الْاٰخِرَۃِ ؕ لَا تَبْدِیْلَ لِکَلِمٰتِ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ ہُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ ﴿ؕ۶۴﴾
(পারা: ১১, সূরা ইউনুস, আয়াত: ৬২-৬৪) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: শুনে নাও! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের না কোন ভয় আছে, না কোন দুঃখ; ঐসব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং খোদাভীতি অবলম্বন করে; তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে এবং পরকালে। আল্লাহর বাণীসমূহ পরিবর্তিত হতে পারে না। এটাই হচ্ছে মহা সাফল্য।
প্রসিদ্ধ মুফাসসিরে কুরআন, হাকিমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতে করীমার ব্যাখ্যায় বলেন: হে লোকেরা! কান খুলে শোনো! জেনে রেখো! এতে কোন সন্দেহ নেই যে আল্লাহ পাকের বন্ধুগণ, তাঁর নৈকট্য পাওয়া সৌভাগ্যবানদের মর্যাদা হলো এটি যে * দুনিয়াতে তাঁদের উপর কোন সৃষ্টির ভয় নেই, আশঙ্খা ও ভয় আবৃত করে না, কেননা তাঁদের হৃদয় আল্লাহ পাকের ভয়ে পরিপূর্ণ * তাঁদের দুনিয়া ও পরকালে কোন পেরেশান (Grief) নেই, আল্লাহ পাক তাঁদের উভয় জগতের কষ্ট থেকে হেফাযত রাখেন * এরা ঐসব লোক যারা পরিপূর্ণ মুসলমান, এরা সব সময় খোদাভীরু ও ধার্মিক থাকে * না কোন ফরয, ওয়াজিব বা সুন্নাত বর্জন করে আর না কোন নাজায়িয কাজ * তাঁদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সুসংবাদ রয়েছে * তাঁদের বেলায়তের সাক্ষ্য মানুষের মুখে বিদ্যমান থাকে * তাঁদের দিকে মন ধাবিত হয় * এবং ইন্তেকালের সময় ফেরেশতারা তাঁদের জান্নাতী হওয়ার সুসংবাদ (Good News) দিয়ে থাকে * কিয়ামতের দিন জান্নাতে প্রবেশ করার সময় তাঁদেরকে সুসংবাদ দেয়া হবে * এটা আল্লাহ পাকের অঙ্গিকার যেটা কখনো পরিবর্তন হয় না, হে লোকেরা! এটা বড় সফলতা, এটার দিকে ধাবিত হও...!!
(তাফসীরে নঈমী, পারা: ১১, সূরা ইউনুস, আয়াতের পাদটিকা: ৬২-৬৩-৬৪, সামান্য পরিবর্তন সহকারে)
سُبْحَانَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আউলিয়ায়ে কেরামের কেমন অনন্য শান, আল্লাহ পাক তাঁদেরকে দুনিয়াতেও উচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং পরকালেও তাঁদেরকে সুমহান পদমর্যাদা দেয়া হবে, سُبْحَانَ الله! আউলিয়ায়ে কেরাম দুনিয়াতেও সর্দার এবং اِنْ شَآءَ الله আখিরাতেরও সর্দার হবেন।
আউলিয়ায়ে কেরামের ভালোবাসা হৃদয়ে প্রবেশ করানো হয়
হে আশিকানে রাসূল! কুরআনে করীমের আরও অনেক স্থানে আউলিয়ায়ে কেরামের শান বর্ণনা করা হয়েছে, পারা: ১৬, সূরা মরিয়মে ইরশাদ হচ্ছে:
اِنَّ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَیَجْعَلُ لَہُمُ الرَّحْمٰنُ وُدًّا