Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai
মসজিদে দ্বীনি শিক্ষা দেয়া প্রিয় নবীর সুন্নাত: আমাদের নবী মক্কী মাদানী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মসজিদে নববী শরীফে দ্বীনি জ্ঞান শিক্ষা দিতেন এবং * সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان শিখতেন। (মিরাতুল মানাজিহ,খন্ড ৩,পৃঃ ২৩৯) * বড় বড় আউলিয়ায়ে কেরাম এবং ওলামায়ে উম্মতেরও এই রীতিনীতি ছিল।
اَلْحَمْدُ لِلّٰه দাওয়াতে ইসলামী ওয়ালা আশিকানে রাসূলও এই নেক কাজ করার সৌভাগ্য অর্জন করে * আপনার নিকটবর্তী চৌক বা মসজিদে যেখানেই দরস হয় সেখানে অংশগ্রহণ করুন * اِنْ شَآءَ اللہُ الْکَرِیْم দ্বীনি জ্ঞান শেখার সুযোগ হবে * যদি মসজিদে হয় তাহলে ততক্ষণ সময় মসজিদে বসার সওয়াব লাভ হবে * ভালো সাহচর্যে বসার সৌভাগ্য হবে * দরস হলো মুসলমানদের অনিষ্ট থেকে রক্ষার একটি মাধ্যম * দরস বেনামাযীকে নামাযী বানায় * দরস মসজিদ থেকে দূরে থাকা লোকদেরকে মসজিদের নিকটবর্তী করে দেয় * দরসের বরকতে নেকীর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় * দরস এলাকায় (Area) দ্বীনি কাজের সাড়া ফেলে দেয় * আপনিও প্রতিদিন দরসে অংশগ্রহণ করার নিয়ত করে নিন, নিয়মিত নামায পড়ার পাশাপাশি দ্বীনি জ্ঞানের অসংখ্য বিষয় শেখার এবং শেখানোর সুযোগ হবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বয়ানের পরিশেষে আসুন সুন্নাতের ফযিলত এবং কতিপয় জীবন যাপনের শিষ্টাচার বয়ান করার সৌভাগ্য অর্জন করি। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন:
مَنْ اَحَبَّ سُنَّتِی فَقَدْ اَحَبَّنِی وَمَنْ اَحَبَّنِی كَانَ مَعِیَ فِی الْجَنَّةِ
যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো আর যে আমাকে ভালোবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (তারিখে দামেস্ক,৯ম খন্ড,পৃ: ৩৪৩)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন আযানের সুন্নাত ও শিষ্টাচার সম্পর্কে কতিপয় মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য অর্জন করি। প্রথমে দুটি নববী বাণী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم লক্ষ্য করুন: (১) তিনি ইরশাদ করেনঃ সাওয়াবের উদ্দেশ্যে আযানদাতা সেই শহীদের ন্যায় যে রক্তেরঞ্জিত এবং যখন সে মৃত্যুবরণ করবে, কবরে তার শরীর পোকামাকড় খাবে না। (আল মুজামু কবীর, ১২/৩২২, হাদীস: ১৩৫৫৪) (২) তিনি ইরশাদ করেন: আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম এতে মুক্তার গম্বুজ দেখলাম, তার মাটি হলো মুশকের, জিজ্ঞেস করলেন: হে জিব্রাইল এটি কার জন্য? আরজ করা হলো: আপনার উম্মতের মুয়াজ্জিন এবং ইমামদের জন্য। (আল জামেউস সগীর, পৃষ্ঠা: ২৫৫, হাদীস: ৪১৭৯) * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم একবার সফরে আযান দিয়েছিলেন এবং শাহাদাতের বাক্যগুলো এরূপ বলেছিলেন: اَشْہَدُ اَ نِّیْ رَسُوْلُ اللہ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি আল্লাহর রাসূল) (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ, ৫/৩৭৫) * যেই এলাকায় আযান দেওয়া হয়, আল্লাহ পাক সেই এলাকাকে তার শাস্তি থেকে সেই