Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

এভাবেই আমাদের নিজেদের নতুন ভার্সন হওয়া উচিত। রমযান মাস আগমন করেছে মানুষ যেন বুঝতে পারে যে * পূর্বে সে বেনামাযী ছিল এখন নামাযী হয়ে গিয়েছে * পূর্বে সে মিথ্যা বলতো এখন সত্যবাদী ও ঈমানদার হয়ে গিয়েছে * পূর্বে সে অলিগলিতে বসে মানুষের উপর অত্যাচার করত, এখন সে মানুষের অধিকারের প্রতি যত্নবান হয়ে গিয়েছে * পূর্বে সে কম নেকী করত, এখন সে বেশি নেকী করতে শুরু করেছে * মোটকথা আমাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের ধরন থেকে, আমাদের চরিত্র থেকে, আমাদের চালচলন (Character) থেকে যেন বুঝা যায় যে, রমযান এসে গেছে।

 

রমযান মাসকে সাধারণ দিনের চেয়ে আলাদা রাখুন

          হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: لَا تَجْعَلْ یَوْمَ صَوْمِکَ
وَ یَوْمَ فِطْرِکَ سَوَاءٌ অর্থাৎ তোমরা রোযার দিন ও সাধারণ দিনকে সমানভাবে অতিবাহিত করো না। (যুহুদ লিইবনি মুবারক, পৃষ্ঠা: ১৬০, হাদীস: ৪৬০)  

          অর্থাৎ যে কোনো পরিবর্তন আনতে হবে, রমযান আলাদা মাস
* অন্য সব মাসের সর্দার * বিশেষ করে রমযানের জন্য জান্নাতকে সাজানো হয় * রমযানের প্রথম রাতে আরশের নিচ থেকে সতেজ বাতাস প্রবাহিত হয় *  রমযান আসার সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় * জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় * শয়তানকে বন্দী করা হয়। অর্থাৎ এই মাসে এত পরিবর্তন হয়, তাহলে আমাদের চরিত্রের পরিবর্তন হয় না কেন...? কেন আমাদের কথা বলার ধরন (Way of Talking) বদলায় না? কেন আমাদের রীতিনীতি বদলায় না? রমযান একটি নবজাগরণের (নতুন জীবন লাভের) মাস। তাই যখন রমযান মাস আগমন করে তখন আমাদের চরিত্র দ্বারা, আমাদের কথাবার্তা দ্বারা বুঝে আসা উচিত যে, রমযান এসে গেছে।

 

রহমত থেকে বঞ্চিত হতভাগা

          হযরত উবাদা ইবনে সামিত رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন, একদা রমযান মাসের আগমন সন্নিকটে ছিল, আল্লাহ পাকের শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন, তোমাদের কাছে রমযান মাস এসেছে * এটি বরকতপূর্ণ মাস * এই মাসে আল্লাহ পাকের রহমত তোমাদেরকে আচ্ছাদিত করে নেয় * এই বরকতময় মাসে গুনাহ সমূহ মুছে দেওয়া হয় * এই পবিত্র মাসে দোয়া সমূহ কবুল করা হয় * এই বরকতময় মাসে আল্লাহ পাক তোমাদের নেকীর প্রতি প্রবণতা ও আগ্রহ দেখে ফেরেশতাদের সামনে তোমাদেরকে নিয়ে গর্ব করেন * অতএব এই পবিত্র মাসে নিজের পক্ষ থেকে নেকী কল্যাণ করে আল্লাহ পাককে দেখান, নিশ্চয়ই হতভাগা সে ব্যক্তি যে এই মাসেও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকে।

(মুসনদুস শামিয়ীন লিত তাবারানী, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২৭১, হাদীস: ২২৩৮)

২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এ হাদীসের দু'টি বাক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণঃ (১) তিনি বলেনঃ ینظرُ اللہُ اِلیٰ تَنَافُسِکُمْ অর্থাৎ এই মাসে মহান আল্লাহ পাক তোমাদের নেকীর প্রতি প্রবণতা ও আগ্রহ