Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

          হায়! রমযান মাসে ক্ষমাপ্রাপ্ত সৌভাগ্যবানদের মধ্যে আমাদের নামও যেন অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

রমযানের আগমনের সুসংবাদ

                                                سُبْحَانَ الله!প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! রমযান মাসের কী অপূর্ব মহিমা (Glory)...!! আর এই বরকতময় মাসে রোযাদারদের কী অপরূপ মহিমা...!! হযরত আনাস ইবনে মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: 'আল্লাহ পাক যদি আসমান ও জমিনকে কথা বলার অনুমতি (Permission) দেন, তবে তারা রমযানের রোযাদারদের জান্নাতের সুসংবাদ শুনাতো। (তারিখে মদীনা দামেস্ক, খণ্ড: ৭৩, পৃষ্ঠা: ২৬৭)   

 

হায়! আমরা যেন রমযান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের ভাগ্যের (Destiny) নক্ষত্রও চমকে উঠতে যাচ্ছে, কিছুদিন পরেই اِنْ شَآءَ اللهُ الْکَرِیْم ! পবিত্র  রমযান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। আল্লাহ পাক চাইলে এ বছরও আমরা রমযান মাসের পবিত্র মূহুর্তগুলো দেখার, রমযান মাসের বরকতময় সময়ে শ্বাস নেওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতে পারব। আল্লাহ পাক আমাদেরকে এই সৌভাগ্য দান করুন, আল্লাহ পাক আমাদেরকে এতটুকু অবকাশ দান করুন যে, আমরা যেন কল্যাণ ও নিরাপত্তার সাথে আল্লাহর মাস, কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাস, প্রিয় রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছতে সফল (Successful)  হতে পারি। যখন রমযান মাস আসবে, তখন তাকে পরিপূর্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন। মাগরিবের নামায মসজিদে জামাত সহকারে আদায় করুন! অতি উত্তম (Better) হলো 'আওয়াবীনের নফল নামাযও আদায় করুন! রমযান মাসের চাঁদ দেখার চেষ্টাও করুন, আর চাঁদ দেখে সম্ভব হলে সেই দোয়াটিও পাঠ করে নিন যা আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পাঠ করতেন অসংখ্য বরকত নসীব হবে।  

 

পবিত্র রমযান আত্মশুদ্ধির মাস

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটা সবসময় মনে রাখবেন! পবিত্র রমযান মাস হলো আত্মশুদ্ধির মাস, নিজের বাহ্যিক ও অভ্যন্তর পরিশুদ্ধ করার মাস। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَیْكُمُ الصِّیَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَۙ(۱۸۳)

(পারা ২, বাকারা: ১৮৩)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদঃ হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ হয়েছিল যাতে তোমাদের পরহেজগারী অর্জিত হয়।

 

          উক্ত আয়াতে রোযার যে সর্বোচ্চ হিকমত ও অন্যতম উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে, তা হলোঃ

لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَۙ(۱۸۳)