Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

(পারা ২, বাকারা: ১৮৩)                           কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ  "যাতে তোমাদের পরহেজগারী অর্জিত হয়।

 

          অর্থাৎ হে মুসলমানগণ, তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, তোমরা তা নিয়মিত পালন করোযাতে তোমরা তাকওয়া ও পরহেজগারী অবলম্বন করতে পার।

(তাফসীরে নঈমী, পারা: ২, সূরা: বাকারা, ১৮৩ নং আয়াতের পাদটিকা, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২১২)

 

          জানা গেল, রমযান মাস সেই বরকতময় মাস যাতে রোযা পালন করা হয় এবং সেই রোযার বরকতে আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারি।

 

তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল

          তাকওয়া অনেক বড় সম্পদ। আবূ সাঈদ খুদরী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এক সাহাবীকে رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে উপদেশ দিতে গিয়ে বললেন: عَلَیْکَ بِتَقْوَی اللّٰہِ فَاِنَّہُ جِمَاعُ کُلِّ خَیْرٍ   তোমার ওপর তাকওয়া অবলম্বন করা আবশ্যক, নিশ্চয় তাকওয়া সমস্ত কল্যাণের উৎস (Combination) (মুসনদে আবি ইয়ালা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৩২৪, হাদীস: ১০০১)    

 

          হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাজালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হে প্রিয়! তোমার জানা উচিত যে, তাকওয়া একটি দুর্লভ সম্পদ, যদি তুমি এই গুপ্তধন অর্জনে সফল হয়ে যাও তবে তুমি বিরাট সফলতা অর্জন করে নিবে, এভাবে মনে করো যে, দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাকওয়ার মধ্যে পুঞ্জীভূত হয়ে গেছে। (মিনহাজুল আবেদীন, পৃষ্ঠা: ১৪৮)  

 

          দেখুন! কত বড় ফযীলত...!! দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ তাকওয়ার মধ্যে পুঞ্জীভূত হয়েছে এবং রোযা হলো সেই ইবাদত যার বরকতে তাকওয়া অর্জিত হয়। অন্যভাবে এরূপ বলতে পারেন, রোযা হলো সেই উচ্চ পর্যায়ের ইবাদত, যার বরকতে বান্দা দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হয়।

 

রোযা নতুন জীবন দান করে

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সূফিয়ায়ে কেরামের নিকট রমযান মাস ও রোযার উল্লেখিত বিবরণ অনুযায়ী রমযানকে নবজাগরণের মাস (অর্থাৎ নতুন জীবন লাভ) হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আপনি হয়তো শুনে অবাক হবেন যে, সুফিদের মতে মানুষ দু'বার জন্মগ্রহণ করে, প্রথম জন্ম সেটাই যা প্রসিদ্ধ (Famous), যখন আমরা এই পৃথিবীতে আসি। দ্বিতীয় জন্ম বলতে অন্তরের পবিত্রতাকে বুঝায়, অর্থাৎ মানুষ যখন তার অন্তরকে গুনাহ থেকে, অভ্যন্তরীণ রোগ থেকে, লোভ-লালসা, দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা, অহংকার, আত্মম্ভরিতা ইত্যাদি থেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়, তাকে মানুষের নবজাগরণ (অর্থাৎ দ্বিতীয় জন্ম) বলা হয়।

(তাফসীরে রূহুল বয়ান, পারা: ২, সূরা: বাকারা, ১৮৪ নং আয়াতের পাদটিকা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৯৪)

রোযার বরকতে তাওবা নসীব হয়ে গেলো

          শায়খ আবু বকর শিবলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তৃতীয় শতাব্দীর অনেক উচ্চ পর্যায়ের একজন বুযুর্গ। তিনি তাঁর জীবনের একটি বিস্ময়কর ও শিক্ষণীয় ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: একবার আমি