Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai
মাসকে তাকওয়া ও পরহেজগারীর সাথে অর্থাৎ গুনাহ থেকে বেঁচে অতিবাহিত করার নিয়ত করে নিন। দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হোন যে, সম্পূর্ণ রমযান মাস (সেটা ২৯ দিনের হোক বা ৩০ দিনের) আমি একটি গুনাহ ও করবো না। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেনঃ যেভাবে রমযান মাস অতিবাহিত হয়েছে সেভাবে সম্পূর্ণ বছর অতিবাহিত করো, যেভাবে পবিত্র রমযান মাসে অবিচলতা অর্জন হয়েছে, সেভাবে সম্পূর্ণ বছর অবিচলতা অর্জন হতে থাকবে। (মাকতুবাতে ইমামে রাব্বানী, মাকতুব, ৪, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৪২)
سُبْحَانَ الله! ব্যাস আমরা শুধুমাত্র এই একটি মাস গুনাহ পরিহার করে কাটিয়ে দেই, اِنْ شَآءَ اللہُ الْکَرِیْم! জীবন সুন্দর হয়ে যাবে।
তাই এ বছর রমযান মাসে এই লক্ষ্য (Target) স্থির করুন যে, এ বছর পুরো রমযান মাসে আমি গুনাহ করবো না * নামায বর্জন করা গুনাহ তাই একটি নামাযও বর্জন করবো না * জামাত বর্জন করা গুনাহ, তাই একটি জামাতও ত্যাগ করবো না * তারাবীহ ত্যাগ করার অভ্যাস গড়ে তোলা গুনাহ, তাই পুরো মাস ২০ রাকাত তারাবীহ পড়বো * রোজা ভঙ্গ করা গুনাহ, তাই শুধু বৃহস্পতি ও শুক্রবারই নয়, সব রোযা রাখবো * মিথ্যা বলা গুনাহ, তাই পুরো রমযান মাসে একটি মিথ্যাও বলবো না * গীবত করা গুনাহ তাই সম্পূর্ণ রমযান মাসে একবারও কারো গীবত করবো না * চুগলি করা গুনাহ তাই সম্পূর্ণ রমযান মাস চুগলি থেকে বিরত থাকবো * কুদৃষ্টি দেওয়া গুনাহ তাই সম্পূর্ণ রমযান মাস কুদৃষ্টি দেওয়া থেকে বিরত থাকবো, facebook চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, ইউটিউব চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, সোশ্যাল মিডিয়া যেন গুনাহের আবাসস্থল, এর ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে * কানকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে হবে * হাতকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে হবে * মোটকথা সম্পূর্ণ দেহকে গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রমযান অতিবাহিত করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি রমযান মাসে গুনাহের কাজ করে, আল্লাহ পাক তাঁর সারা বছরের আমল বিনষ্ট করে দেন। নিশ্চয়ই রমযান আল্লাহ পাকের মাস তাই এতে গুনাহ করা থেকে বিরত থাকো। (মুজামু আওসাত, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা: ৪১৪, হাদীস: ৩৬৮৮) একটি হাদীসে এসেছে, 'রমযানের অবমাননা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয়ই এতে নেকীর গুরুত্ব (Importance) যেমন বেড়ে যায়, তেমনি গুনাহেরও (শাস্তি) বেড়ে যায়।
(মুজামু আওসাত, খণ্ড : ৩, পৃষ্ঠা: ৩৫৪, হাদীস: ৪৮২৭)
গুনাহ থেকে বিরত থাকার উপকারিতা
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! গুনাহ থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরী এবং অনেক উত্তম কাজও বটে। আলেমগণ বলেন, নেকী করার চেয়ে গুনাহ থেকে বিরত থাকা বেশি জরুরী। (তাম্বিহুল গাফেলীন, পৃঃ ২১১) কুরআন ও হাদীসে গুনাহ থেকে বাঁচার অনেক ধর্মীয় ও পার্থিব উপকারিতার কথা বলা হয়েছে, যেমন- * যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে তাকে অন্তরের প্রশান্তি দান করা হয় * যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে , আল্লাহ পাক তাকে অদৃশ্য থেকে সাহায্য করেন * যে ব্যক্তি