Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai
নিয়্যত করে নিন!
যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে
দ্বীন শেখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালীন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের
কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! পবিত্র রমযান মাসের আগমন হচ্ছে...!! سُبْحَانَ الله! ক্ষমার মাস, রহমানের মাস, মহিমান্বিত মাস আগমন করছে।
পবিত্র রমযানের প্রথম রাতের অজিফা
ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাজ্জালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: "যে ব্যক্তি পবিত্র রমযানের প্রথম রাতে দুই রাকাত নামায আদায় করবে, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে একবার সূরা ফাতাহ পড়বে এবং সালাম ফেরানোর পর দশবার সূরা কদর পড়বে, অতঃপর প্রিয় নবী, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর ১০ বার দরূদে পাক পাঠ করবে, সে মৃত্যুর পূর্বে দু'টি ফযিলত থেকে যেকোনো একটি পাবেঃ (১) হয়তোবা সে স্বপ্নে আল্লাহ পাকের দীদারের সৌভাগ্য লাভ করবে (২): নতুবা সে কদরের রজনী লাভ করবে। (সুলওয়াতুল আরেফীন, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৬৩)
পবিত্র রমযান মাসের সংক্ষিপ্ত ফযীলত
আপনি কি জানেন পবিত্র রমযান কত মহিমান্বিত মাস...? জী হ্যাঁ * সেই মাসের আগমন ঘটতে যাচ্ছে যাকে পবিত্র হাদীসে সমস্ত মাসের সর্দার বলা হয়েছে (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ২৩৮, হাদীস: ৭৯২৪) * সেই বরকতময় মাস আসছে যার প্রথম রাত(First Night) থেকেই আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে, তারপর শেষ রাত (Last Night) পর্যন্ত বন্ধ হবে না। * যে ব্যক্তি এই মাসে একটি সিজদা করবে তার জন্য ১৫০০ নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় এবং জান্নাতে লাল ইয়াকুতের ঘর নির্মাণ করা হয় * যে ব্যক্তি রমযান মাসের প্রথম রোযা রাখে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় * সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে (শুয়াবুল ঈমান, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩১৪, হাদীস: ৩৬৩৫) * সেই পবিত্র মাস আসছে যাতে নফলের সাওয়াব ফরজের সমপরিমাণ এবং ফরজের সাওয়াব ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয় (সহীহ ইবনে খুযাইমা, পৃষ্ঠা: ৪৩৮, হাদীস: ১৮৮৭) * রমযান মাসের প্রথম রাতে আল্লাহ পাক এই উম্মতের প্রতি কৃপার দৃষ্টি দেন এবং আল্লাহ পাক যার প্রতি কৃপার দৃষ্টি দেন তাকে কখনো শাস্তি দেবেন না (শুয়াবুল ঈমান, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩০৩, হাদীস: ৩৬০৩) * এই বরকতময় মাসে ক্ষমার পুরস্কার বন্টন করা হয় * প্রতিদিন ইফতারের সময় ১০ লাখ গুনাহগারকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং যখন এই বরকতময় মাসে শুক্রবার (Friday) আসবে তখন তো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়ে ওঠে, হাদীসে পাক অনুযায়ী রমযানুল মোবারকের বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত এবং শুক্রবার দিনে (অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত) প্রতি মূহুর্তে ১০ লক্ষ মানুষকে ক্ষমা করা হয় এবং এই সমস্ত ক্ষমপ্রাপ্ত তারাই যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল।
(মুসনাদুল ফেরদৌস, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩২০, হাদীস: ৪৯৬০)