Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

Book Name:Ramadan Sudharne Ka Mahina Hai

সাপ্তাহিক ইজতিমার হালকার সিডিউল ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং

() সুন্নাত আদব শিখা: মিনিট () দোয়া মুখস্ত করানো মিনিট,
(
) যাচাই: মিনিট, সর্বমোট ১৫ মিনিট

আযানের অবশিষ্ট সুন্নাত ও শিষ্টাচার

          যদি কোন ব্যক্তি শহরের ভেতর ঘরে নামায পড়ে তাহলে সেখানকার মসজিদের আযান তার জন্য যথেষ্ট তবে আযান দেওয়াটা মুস্তাহাব। (রদ্দুল মোহতার,২/৭৮,৪২) * সময় শুরু হওয়ার পর আযান বলুন, যদি সময়ের পূর্বে আযান বলে দেন অথবা সময় শুরু হওয়ার পূর্বে শুরু করেছিলেন এবং আযান চলাকালীন সময় হয়ে যায় তাহলে উভয় অবস্থায় আজান পুনরায় দিতে হবে। (হেদায়া, ১/৪৫) * মহিলারা তাদের কাযা নামায পড়ুক বা ওয়াক্তিয়া নামায পড়ুক এর জন্য আযান ও ইকামত বলা মাকরূহ। (দুররে মুখতার,২/৭২) * বুদ্ধিমান শিশুও আযান দিতে পারে (দুররে মুখতার,২/৭৫) * অযু ব্যতীত আযান দেওয়া সঠিক তবে অযু ব্যতীত আযান বলা মাকরূহ (কানুনে শরীয়ত, পৃষ্ঠা: ১৫৮) আযানে আঙ্গুল কানে রাখা সুন্নাত এবং মুস্তাহাব তবে নড়াচড়া করার অথবা ঘুরানো অনর্থক কাজ। (ফাতাওয়ায়ে রযবীয়্যাহ, ৫/৩৭৩) * ফজরের আযানে حَیَّ عَلَی الْفَلَاح এরপর اَلصَّلٰوۃُ خَیْرٌ مِّنَ النَّوْم বলা মুস্তাহাব। (দুররে মুখতার, ২/৪৭) যদি বলা না হয় তবুও আযান হয়ে যাবে।

(কানুনে শরীয়ত, পৃষ্ঠা: ১৫৭)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

মসজিদে প্রবেশ করার দোয়া

          দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে পরিপূর্ণ ইজতেমার সময়সূচি অনুযায়ী মসজিদে প্রবেশ করার দোয়া মুখস্ত করানো হবে দোয়াটি হলো:

اَللّٰہُمَّ افْتَحْ لِی اَبْوَابَ رَحمَتِکَ

          অনুবাদ: হে আল্লাহ পাক আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা উন্মুক্ত করে দাও। (খাযিনায়ে রহমত, পৃষ্ঠা ৮৫)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি

            প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: (আখিরাতের বিষয়ে) এক মুহূর্তের  জন্য চিন্তা ভাবনা করা ৬০ বছরের (নফল) ইবাদত থেকে উত্তম।

(জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী, পৃষ্ঠা- ৩৬৫, হাদীস নং-৫৮৯৭)

          আসুন! নেক আমলের পুস্তিকা পূরণ করার আগে ভালো ভালো নিয়্যতকরে নিই।

১.  আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য নিজে নেক আমলের পুস্তিকা থেকে আজকের আখিরাতের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবো এবং অপরকেও উৎসাহিত করবো।

২.  যে সকল নেক আমলের উপর আমল হয়েছে, তার জন্য আল্লাহ পাকের হামদ (শুকরিয়া আদায়)  করবো।

৩.  যার উপর আমল হয় নি, তার জন্য অনুতাপ এবং ভবিষ্যতে আমল করার চেষ্টা করবো।

৪.  গুনাহ থেকে বিরতকারী কোনো নেক আমলের উপর (আল্লাহ না করুক) আমল না হলে, তবে তাওবা ও ইস্তিগফার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে গুনাহ না করার সংকল্প করবো।