Mola Ali Aur Fikr e Akhirat

Book Name:Mola Ali Aur Fikr e Akhirat

১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি দ্বীনি কাজ হল

ফজরের জন্য জাগানো

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনে, নেককার নামাযী হওয়ার জন্য আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর ১২টি দ্বীনি কাজে কার্যতভাবে (Practically) অংশ নিন! দাওয়াতে ইসলামীর ১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে থেকে একটি কাজ হল ফজরের জন্য জাগানো ফজরের নামাযের জন্য মানুষদের জাগ্রত করা নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত اَلْحَمْدُ لِلّٰه দাওয়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত আশিকানে রাসূল নবী করীম  صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمএর সুন্নাতের উপর আমলের স্পৃহা নিয়ে ভোরে ফজরের নামাযের পূর্বে গলি গলি গিয়ে উচু আওয়াজে দরুদ সালাম পড়ে থাকে এবং মানুষদেরকে বিছানা ছেড়ে ফজরের নামাযের জন্য যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে থাকে আপনিও এই দ্বীনি কাজের অংশ নিন, ভোরে তাড়াতাড়ি উঠুন, আল্লাহ পাক নসীব করলে তবে তাহাজ্জুদের নামায আদায় করুন, যিকির ওযিফা আদায় করুন ফজরের আযানের পর মাদানী মারকাজের প্রদত্ত পন্থা অনুসারে মানুষদেরকে ফজরের নামাযের জন্য জাগ্রত করুন এই আমলের বরকতে اِنْ شَآءَ الله অঢেল সাওয়াব হাতে আসবে

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

ইতিকাফের সুন্নাত ও আদব

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! ইতিকাফের সুন্নাত আদবের ব্যাপারে কিছু মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য অর্জন করিপ্রথমে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুটি বাণী লক্ষ্য করুন () ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সাওয়াব অর্জনের নিয়্যতে ইতিকাফ করল, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে (জামেয়ে সগীর, পৃঃ ৫১৬, হাদিস: ৮৪৮০) () ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি রমযানুল মোবারকে দশদিন ইতিকাফ করল, সে এমন, যেন দুটি হজ্জ  এবং দুটি ওমরা করল (শুয়াবুল ঈমান, /৪২৫, হাদিস: ৩৯৬৬) * রমযানুল মোবারকের শেষ দশকের ইতিকাফ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া, যদি সবাই ছেড়ে দেয় তবে সবাই জিজ্ঞাসীত হবে আর শহরে একজন করে নিল তবে সবাই দায়িত্বমুক্ত হল (ফয়যানে রমযান, পৃঃ ২৩৫) * মান্নত এবং সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছাড়া যে ইতিকাফ করা হয় সেটা হল মুস্তাহাব, এর জন্য না রোযা শর্ত, না কোন সময় নির্ধারিত, যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন ইতিকাফের নিয়ত করে নিন (প্রাগুক্ত, ২৩৫ পৃঃ) * রমযানুল মোবারকে ইতিকাফ করার সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল শবে কদর অন্বেষণ করা (প্রাগুক্ত, ২৩২ পৃঃ) * ইতিকাফের জন্য জামে মসজিদ হওয়া শর্ত নয় বরং মসজিদে জামাআতেও হতে পারে, মসজিদে জামাআত হল সেটাই, যেখানে ইমাম মুয়াজ্জিন নিয়োগ রয়েছে যদিও তাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায না হয় (প্রাগুক্ত, ২৩৯ পৃঃ)

 

ঘোষনা

          ইতিকাফের বাকী সুন্নাত আদব তরবিয়তি হালকায় বর্ণনা করা হবে, সুতরাং সেগুলো শিখার জন্য তরবিয়তি হালকায় অবশ্যই অংশগ্রহন করুন