Book Name:Mola Ali Aur Fikr e Akhirat
সেগুলো শুনব। অনুরূপভাবে সায়্যিদা আয়েশা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর উত্তম আলোচনাও হয়ে যাবে এবং মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর আলোচনার বরকতও নসীব হয়ে যাবে।
তিরমিযী শরীফে রয়েছে: হযরত আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে (আহলে বায়তের মধ্যে) প্রিয় নবী, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে ছিল? বললেন: খাতুনে জান্নাত সায়্যিদা ফাতেমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا। জিজ্ঞাসা করা হল: আর পুরুষদের মধ্যে কে? বললেন: তাঁর স্বামী (অর্থাৎ মাওলা আলী শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ)। তিনি আরো বলেন: আমার জানা মতে এর কারণ হল যে, হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অধিক রোযা পালনকারী, অধিক ইবাদতকারী ছিলেন। (তিরমিযী, পৃঃ ৮৭২, হাদিস: ৩৮৭৭)
سُبْحٰنَ الله! মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কেমন শান....!! তিনি অধিকহারে রোযা পালনকারী, অধিকহারে ইবাদতকারী ছিলেন...!!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও অধিকহারে রোযা পালন এবং বেশি থেকে বেশি সময় ইবাদতে অতিবাহিত করার অভ্যাস গড়া উচিত। আজকাল তো اَلْحَمْدُ لِلّٰه ইবাদতের বসন্ত চলছে * রমযানুল মোবারক হল বরকতময় দিন * দিনরাত রহমত বর্ষন হয় * ক্ষমার বার্তা বন্টন হয় * এই মাসে প্রতিদিন ইফতারের সময় লাখো মানুষের ক্ষমা হয়
* ইবাদতের আকাঙ্ক্ষা বাড়ানোর দিবস বরং শেষ দশক শুরু হতে যাচ্ছে, এটা হল সেই বরকতময় দশক, সায়্যিদা আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: যখন রমযানুল মোবারকের শেষ দশক আসে তখন নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ
وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইবাদতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতেন। (বুখারী, পৃঃ ৫২৯, হাদিস: ২০২৪)
اَللهُ اَكْبَرُ কেমন শান...!! * আমাদের নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তো এমন মনিষী যে, তাঁর একটি মূহুর্তের কোটি কোটি অংশও অহেতুক কাজে অতিবাহিত হয়নি * তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনো কোন অহেতুক কাজ করবেন এর কল্পনাই করা যায় না * বরং তিনি তো সেই, যাঁর কর্মকান্ড দ্বীন * যাঁর পন্থা অবলম্বন করা ইবাদত।
যখন নবী করীম
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এর এমন উচ্চ মর্যাদা এবং তিনিও রমযানুল মোবারকের শেষ দশকে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন, সুতরাং চিন্তা করুন! কতই আধিক্যতার সাথে ইবাদত করতেন....!! এই কারণে আমাদের
মতো গোলামদেরও উচিত যে, ইবাদতে অন্তর লাগানো * খুব উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে বাহ্যিক
ও অভ্যন্তরীন আদবের প্রতি খেয়াল রেখে রোযা রাখতে থাকা * রমযানুল মোবারকের রোযা তো ফরয, অবশ্যই রাখতে হবে, এটা থেকে তো মুক্তি নেই * এরপর নফল ইবাদতের অভ্যাস গড়ুন * এবং অধিকহারে ইবাদত করুন * অধিকহারে তিলাওয়াত করুন * নফল পড়ুন * আজকাল তাহাজ্জুদ পড়া খুব সহজ, সেহেরীর জন্য তো উঠতে হবে, তাহাজ্জুদও পড়ে নিন