Book Name:Jamal e Mustafa
পাক সকল সৌন্দর্যময় বস্তুগুলো সৃষ্টি করে সম্পূর্ণ জগতকে সৌন্দর্য প্রদান করলেন এবং সমগ্র সগতের সৌন্দর্যের চেয়েও বেশি সৌন্দর্য হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام কে প্রদান করেন। তাঁর সৌন্দর্যের এরূপ অবস্থা ছিলো যে, যখন মিসরের মহিলারা তাঁকে দেখলো তখন তাঁর সৌন্দর্যে এতই আত্মহারা ও মগ্ন হয়ে গেলো যে, অবচেতন অবস্থায় তারা নিজেদের হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত কেটে ফেলল। এই ঘটনাটি পবিত্র কুরআনে করীমে এই ভাবে বর্ণিত হয়েছে; আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
فَلَمَّا رَاَیۡنَہٗۤ اَکۡبَرۡنَہٗ وَ قَطَّعۡنَ اَیۡدِیَہُنَّ وَ قُلۡنَ حَاشَ لِلّٰہِ مَا ہٰذَا بَشَرًا ؕ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا مَلَکٌ کَرِیۡمٌ (۳۱)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যখন নারীরা ইউসুফকে দেখলো, তখন তারা তার পবিত্রতার মহত্ব বর্ণনা করতে লাগলো এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল। আর বললো: আল্লাহরই জন্য পবিত্রতা, এটাতো মানব জাতির কেউ নয়। এটাতো নয়, কিন্তু কোন সম্মানিত ফিরিশতা।
সদরুল আফাযিল হযরত মাওলানা মুফতি সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ “খাযাইনুল ইরফান”এ আয়াতটির তাফসীরে বলেন: কেননা, তারা সেই বিশ্ব উজ্জ্বলকারী সৌন্দর্যের সাথে সাথে নবুয়ত ও রিসালাতের আলো বিনয় ও নম্রতার চিহ্ন সমূহ এবং বাদশাহ সুলভ প্রভাব ও ক্ষমতা এবং সুস্বাদু খাদ্য ও সুন্দর চেহারার দিক থেকে অনাসক্তির অবস্থাও দেখলো। আর তারা বিস্মিত হলো এবং তাঁর মহত্ব ও ভয়ে তাদের অন্তর ভরে উঠলো এবং তাঁর রূপ ও সৌন্দর্য এমনভাবে আকৃষ্ট করেছিলো যে, সেই নারীরাও আত্মভোলা হয়ে গিয়েছিলো। তাদের অন্তর ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام এর প্রতি এমন আকৃষ্ট হয়ে গেল যে, হাত কাটার কষ্ট তাদের একেবারে অনুভূত হয়নি। (খাযাইনুল ইরফান, ৪৩৫ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটা তো হযরত ইউসুফ عَلَیْہِ السَّلَام এর সৌন্দর্যের অবস্থা ছিলো যে, যাকে সকল সৃষ্টির চাইতে বেশি