Book Name:Gunahon ki Nahusat
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যে কেউ একটা সংকর্ম করবে, তবে তার জন্য তদনুরূপ দশগুণ রয়েছে আর যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজ করে, তবে এর প্রতিফল শুধুমাত্র ততটুকুই প্রদান করা হবে।
কেননা গুনাহ যদিওবা একটিই হয় তবুও নিজের সাথে দশটি মন্দ স্বভাব নিয়ে আসে: (১) যখন বান্দা গুনাহ করে তখন আল্লাহ পাককে রাগান্বিত করে এবং তিনি তা পূরণ করার উপর ক্ষমতা রাখে (২) সে (গুনাহ সম্পাদনকারী) অভিশপ্ত ইবলিশকে আনন্দিত করে (৩) জান্নাত থেকে দূরে হয়ে যায় (৪) জাহান্নামের নিকটবর্তী হয়ে যায় (৫) সে তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিষ অর্থাৎ নিজের স্বত্বাকে কষ্ট দেয় (৬) সে তার বাতিনকে অপবিত্র করে দেয় অথচ সে পবিত্র হয়ে থাকে (৭) আমল লিখক ফিরিশতা অর্থাৎ কিরামান কাতেবীনকে কষ্ট দেয় (৮) সে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে রওযায়ে মোবারাকায় দুঃখিত করে দেয়। (৯) জমিন ও আসমান এবং সকল সৃষ্টিকে নিজের অবাধ্যতার স্বাক্ষী বানিয়ে নেয় (১০) সে সকল মানুষের সাথে খেয়ানত করে এবং আল্লাহ পাকের অবাধ্য করে থাকে। (বাহরুদ দুমু, আল ফসলুস সানি আওয়াকিবুল মা’ছিয়াতি, ৩০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! গুনাহের কারণে আখিরাতের ক্ষতিসমূহ এবং জাহান্নামের আযাবের শাস্তি ও কবরে বিভিন্ন ধরনের আযাবে লিপ্ত হওয়া সম্পর্কে তো প্রত্যেক ব্যক্তি জানে, কিন্তু মনে রাখবেন! গুনাহের ভয়াবহতায় মানুষ দুনিয়ায়ও বিভিন্ন ক্ষতির সম্মূখীন হতে থাকে, যার মধ্যে কয়েকটি হলো: (১) রোজগার কমে যাওয়া (২) বালা মুসিবদের আধিক্য (৩) বয়স কমে যায় (৪) অন্তরে এবং অনেক সময় পুরো শরীরে হঠাৎ দূর্বলতা সৃষ্টি হয়ে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় (৫) ইবাদত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাওয়া (৬) জ্ঞান লোপ পাওয়া (৭) মানুষের দৃষ্টিতে অপদস্ত হয়ে যাওয়া (৮) ক্ষেত-খামারের উৎপাদন কমে যাওয়া (৯) নেয়ামত হারিয়ে যাওয়া (১০) সবসময় মন খারাপ থাকা (১১) হঠাৎ আরোগ্য-হীন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া (১২) আল্লাহ পাক, তাঁর ফিরিশতা, নবীগণ এবং নেক বান্দাগণের অভিশাপে গ্রেফতার হয়ে যাওয়া (১৩) চেহারা থেকে ঈমানের নূর চলে যাওয়ার কারণে চেহারা নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া (১৪) লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ চলে যাওয়া (১৫) চারিদিক থেকে অপমান, অপদস্ততা হয়ে যাওয়া (১৬) মৃত্যুর সময় মুখ থেকে কালিমা