Book Name:Hazrat Essa Ki Mubarak Zindagi
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এমনিতে তো হযরত ঈসা রুহুল্লাহ
عَلَیْہِ السَّلَام এর পবিত্র সত্ত্বা থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুজিযার প্রকাশ ঘটেছে কিন্তু কিছু মুজিযা এমনও প্রকাশিত হয়েছে যে, যা খুবই প্রসিদ্ধ। আসুন! সেই মুজিযা সম্পর্কে বিস্তারিত শ্রবন করি।
যখন হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام নবুয়তের দাবী করলেন এবং মুজিযা দেখালেন তখন লোকেরা আবেদন করলো যে, আপনি একটি বাদুড় সৃষ্টি করুন। তিনি عَلَیْہِ السَّلَام মাটি দিয়ে একটি বাদুড়ের আকৃতি বানালেন অতঃপর দম করতেই তা উড়তে লাগলো।
(খাযিন, আলে ইমরান, ৪৯নং আয়াতের পাদটিকা, ১/২৫১)
“বাদুড়” এর বিশেষত্ব হলো যে, তা উড়ন্ত প্রাণীদের মধ্যে খুবই আশ্চার্যজনক এবং কুদরতের সত্যতা প্রমাণে অন্যান্যদের চেয়ে বেশী উপযোগী, কেননা তারা পাখা ছাড়াই উড়তে পারে, দাঁত আছে, হাসে এবং বাচ্চা প্রসব করে, অথচ উড়ন্ত প্রাণীদের মধ্যে এসব বিষয় নেই।
(তাফসীরে জামাল, আলে ইমরান, ৪৯নং আয়াতের পাদটিকা, ১/৪১৮)
(২) কুষ্টরোগীদের আরোগ্য প্রদান
হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام ঐ সমস্ত রোগীদেরও আরোগ্য দিতেন, যার শ্বেতরোগ (এক প্রকার রোগ, যা দুষিত রক্তের কারণে শরীরে সাদা দাগ হয়ে যায়) শরীরে ছড়িয়ে গেছে এবং চিকিৎসক তার চিকিৎসা করতে অপারগ হয়ে যায়, যেহেতু হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام এর যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান খুবই সমৃদ্ধশালী ছিলো এবং চিকিৎসার অভিজ্ঞরা চিকিৎসা বিষয়ে খুবই দক্ষতা অর্জন করতো, তাই তাদেরকে এরূপ মুজিযা দেখানো হয়েছে, যেনো চিকিৎসা বিজ্ঞানে যার চিকিৎসা সম্ভব নয়, তাদের সুস্থ করে দেয়া নিঃসন্দেহে মুজিযা এবং নবুয়তের প্রমাণ বহন করে। হযরত ওয়াহাব বিন মুনাব্বাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর বাণী হলো যে, হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام এর নিকট রোগীর ভিড় লেগে যেতো, তাদের মধ্যে যারা হাঁটতে পারতো তারা তাঁর খেদমতে উপস্থিত হয়ে যেতো আর যারা হাঁটতে পারতো না তাদের নিকট স্বয়ং তাশরীফ নিয়ে গিয়ে দোয়া করে তাদেরকে সুস্থ করতেন এবং নিজের রিসালতের প্রতি ঈমান আনার শর্ত আরোপ করতেন।