Book Name:Hazrat Essa Ki Mubarak Zindagi
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام এর মুবারক জীবনের আলোকিত দিকসমূহ হতে একটি অতি উজ্জল দিক হলো যে, তাঁর পবিত্র দৃষ্টি আমাদের মতো দোষ এবং ত্রুটি খোঁজাতে লিপ্ত ছিলো না, আমরা তো জীবিত বা নিষ্প্রাণ জিনিসে দোষ ত্রুটি ও অস্পূর্ণতা ছাড়া আর কিছুই দেখি না। তিনি عَلَیْہِ السَّلَام তো ঐ মহান পয়গাম্বর, যিনি নির্বাক প্রাণী সম্পর্কেও মন্দ বলা থেকে সর্বদা নিজের মুখকে নিরাপদ রাখতেন।
মৃত কুকুরের দোষ ত্রুটি বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকো
শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ তাঁর রচনা “গীবত কি তাবাকারিয়াঁ” এর ২৭৫ পৃষ্ঠায় বলেন: হযরত মালেক বিন দিনার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একদা হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام একটি মৃত কুকুরের পাশ দিয়ে গমন করছিলেন, হাওয়ারী তথা তাঁর অনুসারীরা বললো: এ (Dog) কুকুরটি খুবই দুর্গন্ধময়! হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: এর দাঁতগুলো কি ধবধবে সাদা! এ উক্তি দ্বারা যেনো তিনি عَلَیْہِ السَّلَام তাদেরকে সে মৃত কুকুরটির গীবত থেকেও নিষেধ করেছেন এবং তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, অবলা জীবজন্তুদেরও উত্তম দিকগুলো আলোচনা করতে হবে। (ইহইয়াউল উলুম, কিতাবু আ’ফাতিল লিসান, ৩/১৭৭)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام এর আচরণ কিরূপ সুন্দর চিলো যে, যিনি মানুষের পাশাপাশি পশুদের (Animals) সাথেও অসদাচরণ থেকে বিরত থাকতেন, ভাবুন! তবে প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আচরণের অবস্থা কিরূপ হবে, যাঁর প্রতি প্রভাবিত হয়ে অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে। আহ! যদি আমরাও এই নিষ্পাপ ব্যক্তিত্বদের সদকায় সদাচরণে অধিকারী এবং অসদাচরণ থেকে মুক্তি পেতে সফল হয়ে যাই। সদাচরণের অধিকারী হওয়ার একটি উপায় হলো ফয়যানে আম্বিয়া ও আউলিয়া দ্বারা সমৃদ্ধ আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দা’ওয়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়া।
اَلْحَمْدُ لِلّٰه দা’ওয়াতে ইসলামী ৮০টিরও বেশি বিভাগে নেকীর দাওয়াতের সাড়া জাগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে “ফ্যাইনেন্স ডিপার্টমেন্ট ” দাওয়াতে ইসলামীর জন্য