Hazrat Essa Ki Mubarak Zindagi

Book Name:Hazrat Essa Ki Mubarak Zindagi

এসে যাবে, কিন্তু আমি এই বিষয়টি পছন্দ করিনা হে বনী ইসরাঈল! তোমরা দুনিয়াকে সর্বদা নগন্য (গুরুত্বহীন) মনে করো, একে কোন গুরুত্ব দিওনা, এটি নিজেই তোমাদের জন্য নম্র হয়ে যাবে, তোমরা দুনিয়াকে নিন্দা করো, তোমাদের জন্য আখিরাত সজ্জিত হয়ে যাবে, এরূপ কখনোই করবে না যে, তোমরা আখিরাতকে পেছনে ছেড়ে দিলে আর দুনিয়াকে সম্মান মর্যাদা দিলে, নিশ্চয় দুনিয়া কোন সম্মানিত বস্তু নয় যে, একে সম্মান করতে হবে দুনিয়া তো তোমাদের প্রতিদিন কোন না কোন নতুন আপদ বা ক্ষতির দিকে আহবান করে থাকে, সুতরাং এর ধোকা থেকে বেঁচে থাকো অতঃপর বলেন: হে লোকেরা! তোমরা কি জানো যে, আমার ঘর কোথায়? লোকেরা বললো: হে আল্লাহ পাকের নবী! আপনার ঘর কোথায়? তিনি عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: মসজিদ হলো আমার অবস্থান স্থল, আমার ক্ষুধার্ত থাকাই হচ্ছে আমার উদরপূর্তি (অর্থাৎ পেট ভরে খাওয়া), আমার পা হলো আমার বাহন, রাতে উজ্জল চন্দ্রই হলো আমার প্রদীপ (পথ প্রদর্শক), প্রচন্ড শীতের রাতে নামায আদায় করা আমার প্রিয় কাজ, আমার খাবার হলো শুকনো পাতা ইত্যাদি, জমিনের ঘাস এবং উদ্ভিদ আমার জন্য ফল (Fruits) স্বরূপ, থেকে পশুদের আহার মিলে, সেই সবজি এবং উদ্ভিদ আমি খেয়ে নিই, আমার পোষাক হলো উলের, আল্লাহ পাককে ভয় করা আমার আদর্শ এবং মিসকিন গরীবরা আমার প্রিয় বন্ধু আমি এই অবস্থায় সকাল করি যে, আমার নিকট দুনিয়াবী জিনিসের কোন জিনিস থাকেনা এবং এই অবস্থাতেই রাত অতিবাহিত করি যে, আমার নিকট দুনিয়াবী কোন জিনিস থাকেনা, কিন্তু তবুও আমি এই বিষয়ের তোয়াক্কা করিনা যে, অমুক ব্যক্তি অনেক ধনী আমি আমার এই অবস্থায় নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান এবং অনেক বড় ধনী মনে করি (অর্থাৎ আমি এই অবস্থায়ও আমার প্রতিপালকের সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট)।

    তাঁর সম্পর্কে এমনও বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি عَلَیْہِ السَّلَام একই উলের জুব্বায় নিজের জীবনের ১০টি বছর অতিবাহিত করে দিয়েছেন, যখন সেই জুব্বা কোথাও ছিড়ে যেতো তবে তার রশি দিয়ে বেঁধে নিতেন বা তালি লাগিয়ে নিতেন (উয়ুনুল হিকায়ত, /১১৮)

    سُبْحٰنَ الله! আপনারা শুনলেন তো! হযরত ঈসা রুহুল্লাহ عَلَیْہِ السَّلَام কিরূপ সরলতা পছন্দনীয়, ক্ষুধা ও পিপাসা সহ্যকারী এবং ধর্মনিষ্ট ও অল্পেতুষ্ট, প্রচন্ড শীতের রাতেও