Book Name:Jannat ke Qeemat
আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ তাঁর বিশ্ব বিখ্যাত প্রসিদ্ধ কিতাব “ফয়যানে সুন্নাত” ২য় অধ্যায় “গীবত কি তবাকারীয়া” এর ৯৮ পৃষ্ঠায় লিখেন: * যদি জান্নাতের কোন নখ পরিমাণ বস্তু দুনিয়াতে প্রকাশ হয় তাহলে আসমান ও যমিন তা দ্বারা সজ্জত হয়ে যাবে। * যদি জান্নাতের অলংকার প্রকাশ হয় তাহলে এর রশ্মি, সূর্যের আলোকে হার মানিয়ে দিবে যেভাবে সূর্য তারকার আলোকে মলিন করে দেয় * জান্নাতের এতোটুকু স্থান যার মধ্যে চাবুক, রাখতে পারবে সেটা দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম, জান্নাতের দেয়াল স্বর্ণ ও রূপার ইট আর মুশকের দ্বারা তৈরী * জান্নাতীদের প্রত্যেক প্রকারের সুস্বাদু খাদ্য পাবে, যা চাইবে সাথে সাথে সামনে এসে যাবে * যদি কোন পাখিকে দেখে তার মাংস খাওয়ার মন চাইবে সেই সময় ভূনা হয়ে তার কাছে এসে যাবে * যদি পানি পান করার ইচ্ছা হয় তখন পান পাত্র নিজেই হাতে এসে যাবে * তাতে সে অনুযায়ী পানি, দুধ, শরাব, মধু থাকবে তার ইচ্ছা থেকে এক ফোটাও কম-বেশী হবে না, পান করার পর পান পাত্রটি নিজে নিজেই যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যাবে। * সেখানের শরাব দুনিয়ার শরাবের মতো নয়, যাতে দূর্গন্ধ ও তিক্ততা আর নেশা হয়ে থাকে আর পানকারী বিবেকহীন হয়ে যায়, নেশাগ্রস্থ হয়ে অহেতুক বকতে থাকে। সেই পবিত্র শরাব এসব থেকে একেবারে পবিত্র সেখানে অপবিত্র, নোংরা, পায়খানা, প্রশ্রাব, থুথু, শ্লেষ্মা মল, কানের ময়লা, একেবারে থাকবে না * একটি সুঘ্রাণ যুক্ত ডেকুর আসবে, সুঘ্রাণ যুক্ত ঘাম বের হবে, * খাদ্য সব হজম হয়ে যাবে, * ডেকুর ও ঘাম থেকে কস্তুরীর সুঘ্রাণ বের হবে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সর্বদা মুখ থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের মত তাসবিহ ও তাকবির অব্যাহত থাকবে। প্রত্যেক ব্যক্তির সেবায় কমপক্ষে দশহাজার সেবক দাঁড়িয়ে থাকবে, প্রত্যেক খাদেমের এক হাতে একটি করে রূপার পাত্র থাকবে আরেক হাতে স্বর্ণের এবং প্রত্যেক পাত্রের মধ্যে নতুন রঙের নেয়ামত থাকবে, যতো খাবেন ততোই স্বাদে কমতি হবে না বরং আরো বৃদ্ধি পাবে। প্রত্যেক লোকমাতে ৭০ রকমের স্বাদ পাবে, একটির স্বাদ অন্যটির