Book Name:Jannat ke Qeemat
আর আমার (Mood Off) হওয়ার কারণে হাত পিছে যাচ্ছে বরং চেহারাই অন্য দিকে ফিরিয়ে নিচ্ছি, এমন করা ভালো নয়। আমরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও সাওয়াবের জন্য সাহস করি এবং সাওয়াব অর্জন করার এই সুযোগকে হাত ছাড়া হতে না দিই।
নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্মান কতইনা উচ্চ ও মহান আমাদের প্রিয় নবী, হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এক সমাবেশে আপন গোলামদেরকে কেমন সুন্দর ভাবে শিক্ষা দিয়েছেন! আসুন! মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করি!
রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জাহেরী হায়াত থেকে ওফাতের সময় জনসমাবেশে ঘোষণা করলেন: আমার কাছে যদি কারো ঋণ থেকে থাকে, যদি আমি কারো প্রাণ-সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি করে থাকি, তবে আমার প্রাণ ও সম্পদ, ও সম্মান বিদ্যমান, এই দুনিয়াতে প্রতিশোধ নিয়ে নাও। তোমাদের মধ্যে হতে কেউ যেনো এই ধারণা না করে যে, যদি কেউ আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলে আমি অসন্তুষ্ট হয়ে যাবো এটা আমার শান নই। আমার এই বিষয়টি পছন্দ যে, যদি কারো হক থাকলে আমার কাছ থেকে উসূল করে নিবে বা ক্ষমা করে দিবে। অতঃপর বললেন: হে লোকেরা! যে ব্যক্তির উপর কোন হক থাকে তার উচিত সেই যেনো আদায় করে দেয় এবং এই ধারণা যেনো না করে যে, লজ্জিত হবে! এজন্য
দুনিয়ার লাঞ্ছনা আখিরাতের লাঞ্ছনা থেকে অনেক সহজ।
(তারিখে ইবনে আসাকির, ৪৮/ ৩২৩)
মনে রাখবেন! মীমাংসা না করলে কেবল দুনিয়াতে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্কে সমস্যা হয় না! বরং সাথে সাথে যে ব্যক্তি আপোষ করে না, সে মানুষের চোখে পড়ে, আপোষ থেকে বঞ্চিতকারীকে মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। আপোষ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিকে কেউ সাহায্য করে না। কোনো সুখ-দুঃখের সময় আপোষ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিকে সঙ্গ দেয়ার সংখ্যা কমে যায়। অনুরূপ ভাবে আপোষ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি আখিরাতেও উপকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।