Book Name:Jannat ke Qeemat
لَاطَاعَۃَ فِیْ مَعصِیَۃِ اللہِ اِنَّمَا الطَّاعَۃُ فِی الْمَعرُوْف অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অবাধ্যতায় কারো আনুগত্য জায়েয নেই, আনুগত্য কেবল নেকীর কাজে রয়েছে।
(মুসলিম, ৭৮৯, হাদীস: ৪৭৬৫)
মীমাংসার মধ্যে এই বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরী যে, অবাধ্যতার কাজে কোন আপোষ হবে না, যেমন: বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বাচ্চারা খুব জোর করে ধরলো যে, বিয়েতে নাচ, গান, বাদ্যযন্ত্রের অনুষ্ঠান হওয়া চাই। এখন পিতামাতা বাচ্চাদের অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচার জন্য এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো যে, ইসলামে আপোষের বড়ই গুরুত্ব রয়েছে, এই জন্য আমরা বাচ্চাদের কথা মেনে নিয়েছি। এই ধরণের আপোষ নাজায়েয, হারাম ও জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
আল্লাহ পাক আমাদেরকে শরীয়াতের দাবী অনুযায়ী মীমাংসা করার সামর্থ্য দান করুন। মনে রাখবেন! মীমাংসা করা একটি উত্তম কাজ। মীমাংসার ফলে আল্লাহ পাক ও তার প্রিয় হাবীব হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। কবরের ধাপগুলো সহজ হয়ে যায় আখিরাতের গন্তব্য সহজ হয়ে যায়, জান্নাতের নিকটতম হয়ে যায়, জাহান্নাম থেকে দূরে থাকে। মানুষের দৃষ্টিতে সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, বান্দার সুনাম হয়, ভালোবাসার অনুপ্রেরণা জাগে, ঘৃণা দূরীভূত হয়ে যায়, শয়তান লাঞ্চিত ও অপদস্ত হয়, ফাটল কৃত পরিবারের অসন্তুষ্টি দূর হয়, আত্মীয়দের সাথে উত্তম আচরণ করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়, শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জিত হয়, অশান্তি ও টেনশন দূর হয়ে যায়। মোট কথা মীমাংসা করার অনেক উপকারীতা রয়েছে।
আফসোস! এতো উপকারের পরও কতিপয় লোক মীমাংসা থেকে দূরে সরে গিয়ে দূরত্ব বাড়ায়, অবশ্যই এর মূল কারণ হচ্ছে ইলমে দ্বীন থেকে দূরে থাকা, এই সুযোগে শয়তানও তার জাল বিছিয়ে মানুষকে মীমাংসা থেকে দূরে রাখে এবং শত্রুতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য পরিপূর্ণ চেষ্টা করে। আমাদের সাহস করা উচিত ও মীমাংসা করা দ্বীন-দুনিয়ার উপকার অর্জন করার চেষ্টা করা উচিত। মীমাংসার ব্যাপারে আমাদের বুযুর্গগণ رَحِمَہُمُ